শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাশূন্য

রোবায়েত ফেরদৌস

সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাশূন্য

বিশ্বজুড়ে ভূমি আদিবাসীদের কাছে পবিত্র। নদী, পাহাড়, পর্বত, ভূমি ও প্রকৃতির সঙ্গে রয়েছে আদিবাসীদের নিবিড় ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। তাদের সংস্কৃতিতে ভূমি হলো জননী— মাদার আর্থ; আদিবাসীরা প্রকৃতিকে অনুভব করতে পারে— তাই তারা বন ও সম্পদকে কোনো দিন বেচাকেনার বিষয় হিসেবে দেখেনি, জীবনের অংশ হিসেবে দেখেছে। কিন্তু আধুনিক সভ্যতা বন, প্রকৃতি সব কিছুকেই বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেখে।  এখানেই আদিবাসীদের সঙ্গে বর্তমান উন্নয়ন ধারার দ্বান্দ্বিকতা। সাতচল্লিশের দেশভাগের কারণে হিন্দুদের কী অবস্থা হয়েছে, এ নিয়ে যথেষ্ট লেখালেখি ও গবেষণা হয়েছে। কিন্তু আদিবাসীদের জীবনে দেশভাগের ফলে কী ভয়াবহ পরিণতি হয়েছিল, এ নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। মূলত ১৯৪৭ ছিল আদিবাসীদের জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট। পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালের হামলা ও আক্রমণ। দু’পাক্ষিক দাঙ্গা নয়, কেবল একপাক্ষিক হামলা হয়েছিল, আদিবাসীরা শুধু পলায়ন করেছে, দেশান্তরিত হয়েছে। আর ১৯৬৫ সালের মাত্র ১৭ দিনের পাক-ভারত যুদ্ধে আদিবাসীদের অনেক জমি শত্রু সম্পত্তি হয়ে গেছে। মূলত যেসব কারণে আদিবাসীরা ভূমি হারায় তা হলো পপুলেশন ট্রান্সফার— বারবার বাধ্যতামূলক দেশান্তরকরণ প্রক্রিয়ায়।

দেশভাগের পর থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, হাজং, কোচ, ডালু, হদি, বানাই প্রভৃতি আদিবাসীদের কয়েক দফা প্রাণরক্ষার জন্য জন্মভূমি ছাড়তে হয়। ১৯৬০-৬২ সালে কাপ্তাই বাঁধের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের লক্ষাধিক আদিবাসী বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়; তখন ৫০ হাজারেরও বেশি আদিবাসী ভারতে, ২০ হাজারের মতো চলে যায় বার্মাতে। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সরকার সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চালায়। তখন আদিবাসীরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। তাদের ফেলে যাওয়া জমিতে সরকার অ-আদিবাসীদের পুনর্বাসিত করে। যারা ফিরে আসে, তাদের মধ্যেও অনেকে জমি ফেরত পায়নি।

১৯৭১ সালেও পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের সব কিছু ত্যাগ করে দেশান্তরিত হতে হয়। গারো অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ১৯৭৫ সালেও গারোদের অনেকে দেশান্তর হয়। বারবার দেশান্তরের ফলে তাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। আরও কারণ হচ্ছে আদিবাসীদের কোনো মতামত বা সম্মতি ছাড়াই জমি কেনা বা দখল নেওয়া, আদিবাসীদের ভূমিতে ও এলাকায় জাতীয় উদ্যান, এনজিও প্রকল্প গ্রহণ, ইকো-পার্ক নির্মাণ, রাবার বাগান, বাঙালি পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ, অবকাশ কেন্দ্র, সামাজিক বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা; আদিবাসীদের ঐতিহ্যগতভাবে অধিকৃত, ব্যবহৃত ভূমিকে আদিবাসীদের না জানিয়েই রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা বা খাস করে দেয়া; উচ্ছেদ নোটিস এবং শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে আদিবাসীদের হয়রানি করা; শত্রু সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন কার্যত বজায় থাকা; ভূমিলোভী চক্রের জাল দলিল, জোরপূর্বক জমি দখল; জমিজমা সংক্রান্ত আইনকানুন, খারিজ, খাজনা, কাগজপত্র তৈরি ও সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আদিবাসীদের সচেতনতার অভাব; প্রজাস্বত্ব আইন বলবৎ থাকার পরও এর যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া এবং জেলা প্রশাসনে কোনো আদিবাসী বিষয়ক অফিসার না থাকা; সরকারি ভূমি অফিসের চরম দুর্নীতি ও আদিবাসীদের প্রতি প্রতিপক্ষমূলক আচরণ; ভূমি জরিপের সময় দুর্নীতি ও ঘুষ দিতে বাধ্য করা; ঘুষ না দিলে জমি খাস করে দেওয়া; আইনের আশ্রয় না পাওয়া, এমনকি মামলায় জয়ী হলেও জমির দখল বুঝে না পাওয়া; বছরের পর বছর, এমনকি যুগের পর যুগ মামলা চালাতে গিয়ে আরও জমিজমা হারানো, নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত হওয়া ইত্যাদি।

জাতিসংঘের আদিবাসী ঘোষণাপত্রের ৪৬টি ধারার ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আদিবাসীদের জোর করে তাদের এলাকা বা ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। ঘোষণাপত্রের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ভূমি, এলাকা ও প্রাকৃতিক সম্পদ আদিবাসীরা বংশপরম্পরায় ঐতিহ্যগতভাবে ভোগদখল করে আসছে বা ব্যবহার করে আসছে, তার ওপর আদিবাসীদের অধিকার রয়েছে। আবার বলা হয়েছে, রাষ্ট্র এসব ভূমি, অঞ্চল ও সম্পদের আইনগত স্বীকৃতি প্রদান করবে এবং এ ধরনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে আদিবাসীদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য ও ভূমি মালিকানা প্রথাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জাতীয় উদ্যান গড়ে তুলেছিল আদিবাসী গারোদের ভূমিতে, তাদের উচ্ছেদ করে। কাগজে-কলমে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও ছিল বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। ভিতরে উদ্দেশ্য ছিল আদিবাসী উচ্ছেদ। আজ এ জাতীয় উদ্যান নির্মাণের ষাট বছর পর দেখা যাচ্ছে, মধুপুর বনের প্রাকৃতিক বৃক্ষ উজাড় হয়ে গেছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসপ্রায়, অরণ্য বিরানভূমিতে পরিণত। আর বনের আদি অধিবাসী গারো ও কোচদের জীবন মুমূর্ষু। বনবিভাগ হাজার হাজার মামলা দিয়ে বনের আদি বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সব কিছুই হয়েছে ‘উন্নয়ন’-এর নামে। এসব প্রকল্পের ফলে স্থানীয় মানুষের উন্নয়ন হয়নি, দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনা বরং বেড়েছে। অন্যদিকে বাইরে থেকে শত শত মানুষ ঢুকে গেছে একদা আদিবাসী পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকায় ও বনে। আদিবাসীরা পরিণত হয়েছে সংখ্যালঘু, নিজভূমিতে। মধুপুর জাতীয় পার্ক এখন বাইরের আমোদপ্রিয় লোকদের বনভোজন ও আনন্দভ্রমণের যোগ্য জায়গা হয়ে উঠেছে আর আদিবাসীদের কাছে হয়ে উঠেছে বসবাস অযোগ্য। বনের পরিবেশ বিপন্ন, মানুষও বিপন্ন। তাই তথাকথিত উন্নয়নকে আদিবাসীরা ভয় পায়। এভাবেই উন্নয়নের নামে রাষ্ট্র আদিবাসীদের নিপীড়ন ও ভূমি হারানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দেশজুড়ে আদিবাসীদের ‘আনপিপলিং’ করা হচ্ছে; এভাবে চললে বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী মানুষ থাকবে না, সংখ্যালঘু থেকে আদিবাসীরা হয়ে যাবে সংখ্যাশূন্য, তাদের তখন কেবল গবেষণা রিপোর্ট, আর্কাইভ বা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে পাওয়া যাবে। আদিবাসীরা গরিব/প্রান্তিক কিন্তু যেখানে তারা বাস করেন সেটা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আর সেটাই আদিবাসীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দখলবাজদের চোখ পড়ে এখানে, তারা তখন দখলের সব আয়োজন করে চলে। এ যেন ‘আপনা মাসেঁ হরিণা বৈরি’। ধর্মীয় সংখ্যালঘু যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আহমাদিয়া জামাত কিংবা জাতিগত সংখ্যালঘু যেমন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল, হাজংসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমিজমা প্রতিদিন দখল হয়ে যাচ্ছে; সংখ্যালঘুদের জমি দখলের জন্য প্রথমত. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, দ্বিতীয়ত. বসতবাড়িতে লুটতরাজ-অগ্নিসংযোগ, তৃতীয়ত. উপাসনালয় আক্রমণ এবং চতুর্থত. সংখ্যালঘুদের হুমকি-ধমকি-মামলা দেওয়া হয়। এসবে কাজ না হলে তাদের মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়, যাতে সংখ্যালঘু মানুষের পক্ষে এলাকায় সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা আর সম্ভব না হয়। এর ফলে তারা হয় অন্যত্র নয়তো অন্য দেশে চলে যেতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পুরো বাংলাদেশে ভূমি নিয়ে যারপরনাই এক অমানবিক, নিষ্ঠুর আর রক্তাক্ত অধ্যায় প্রতিনিয়ত রচিত হয়ে চলেছে। এর প্রতিকারের জন্য কেউ নেই, নেই কোনো প্রতিবিধান। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে যা করণীয় তাহলো পার্বত্য-সমতল নির্বিশেষে সব আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে তাদের ভাষা-শিল্প-সংস্কৃতি-জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণসহ সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া; আদিবাসী মানুষের জমি-জলা-বনভূমির অধিকার নিশ্চিতকরণে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় শাসন ও ঐতিহ্যগত শাসন কাঠামোর সর্বোচ্চ সমন্বিত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা; আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকারসহ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশনে আলোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সময়-নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে দায়িত্ব বণ্টন করা; আদিবাসীদের ভূমি জোরদখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া; বনের আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ বন্ধ করা ও বনবিভাগের হয়রানি মামলা প্রত্যাহার করা; ইকো-পার্কের নামে বন উজাড় বন্ধ করা; সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জের ঋণাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে আদিবাসী মানুষ অধ্যুষিত বন-জঙ্গল-জলা ভূমি সংরক্ষণে সহায়ক গবেষণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা।

আদিবাসীদের প্রথা ও ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া; শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা; আর সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা। বাংলাদেশে হাজং, কোচ, বানাই, মারমা, চাকমা, গারো, সাঁওতাল, উঁরাও, মুন্ডা, খাসিয়া, মণিপুরী, খুমি, খিয়াং, লুসাই, বম, ম্রো ও রাজবংশীসহ বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তারা তাদের স্বকীয়তা, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য দিয়ে আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। ভুলে গেলে ভুল হবে যে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এসব আদিবাসীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অবদান। নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রেখে আদিবাসী জনগণ যাতে সবার মতো সমান মর্যাদা ভোগ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। আমরা মনে করেছিলাম, ৪০ বছরে ভূ-রাজনীতির গতিপ্রকৃতি যেমন পাল্টেছে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, মন-রুচিও অনেক অনেক পাল্টেছে, তাই এখন যে সংবিধান রচিত হবে তা কেবল ধর্মনিরপেক্ষ হলেই চলবে না, একই সঙ্গে ভাষা নিরপেক্ষ, জাতি নিরপেক্ষ, যৌনতা নিরপেক্ষ ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে হবে। ভুলে গেলে ভুল হবে যে, বাঙালির একক জাতীয়তাবাদের দেমাগ ইতিপূর্বে রাষ্ট্রীয় শান্তির ক্ষেত্রে বহুবিধ সমস্যাই কেবল পয়দা করেছে, কোনো সমাধান বাতলাতে পারেনি। শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে এরকম ধারণা কাজ করে যে, একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য মুছে ফেলতে না পারলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদার হয় না। আমরা মনে করি একক জাতীয়তাবাদের প্রাবল্য একটি ভুল প্রেমিজ; বরং একটি দেশের জনবিন্যাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও কৃষ্টির বহুমুখী বিচিত্র রূপই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে; এটিই বৈচিত্র্যের ঐকতান বা বহুত্ববাদ— বিউটি অব ডেমোক্রেসি। একক জাতিসুলভ দাম্ভিকতা বাদ দিয়ে দ্রুত এই সত্য বুঝতে পারলে রাষ্ট্রের জন্য বরং ভালো যে, বাংলাদেশ কোনো এক জাতি, এক ভাষা আর এক ধর্মের রাষ্ট্র নয়; এটি অবশ্যই একটি বহু জাতি, বহু ভাষা ও বহু ধর্মের রাষ্ট্র; সেই আশায় আমাদের দাবিসমূহ আবারও তুলে ধরছি : আইএলও-এর ১০৭ ও ১৬৯নং কনভেনশন এবং ২০০৭ সালে গৃহীত জাতিসংঘ আদিবাসী জনগোষ্ঠী অধিকারবিষয়ক ঘোষণাপত্র মোতাবেক আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হোক।

সংবিধান সংশোধন করে আদিবাসী অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ ভূমি ও সম্পদের ওপর অধিকার নিশ্চিত করা; আদিবাসীদের প্রথা ও ঐতিহ্যগত ভূমি অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া;

শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা; সমতলের আদিবাসীদের জন্য স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা;

জাতীয় আদিবাসী কমিশন গঠন করা;

ইনডিজিনাস পিপলস্ রাইটস অ্যাক্ট/আদিবাসী অধিকার আইন প্রণয়ন করা। আমরা এখনো মনে করি বাংলাদেশ একটি বহু জাতির সম্মানজনক অংশীদারিত্বের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হওয়ার স্বপ্নকে ধারণ করতে সক্ষম হবে।  আমরা চাই দেশে বসবাসকারী সব জাতির সমান মর্যাদার ভিত্তিতে নতুন করে রচিত হোক আগামীর সংবিধান।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

     [email protected]

সর্বশেষ খবর