সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সরকারকে পিএসসির চিঠি

শূন্যপদে নিয়োগের পথ খুলে যাক

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে শূন্যপদের সংখ্যা কত তা জানতে চেয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তারা এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছেন। বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগের অপেক্ষায় যখন হা-হুতাশ করছেন অসংখ্য তরুণ, তখন পিএসসির চিঠি তাদের জীবনে আশার আলো জ্বালাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শূন্যপদ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার দুটি  কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া চিঠিতে। বলা হয়েছে, ৩৫তম বিসিএস থেকে ক্যাডার পদে ইতিমধ্যে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালের ননক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালায় ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এরকম প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষক, প্রশিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মকর্তার শূন্য পদের সংখ্যা এবং নিয়োগবিধি পিএসসিতে পাঠানো দরকার। এর ফলে ৩৫তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এরকম প্রার্থীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশ দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে করা যাবে। এ ছাড়া চলমান ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদের বিদ্যমান শূন্যপদও পূরণ করা যাবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় সরকারি কাজকর্মে অচলাবস্থারও সৃষ্টি হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ মুদ্রার অন্য পিঠেও রয়েছে হতাশার ভিন্ন চিত্র। বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিয়োগ প্রাপ্তির অপেক্ষায় থেকে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই বৈপরীত্যের লাগাম টেনে ধরতে পিএসসির পদক্ষেপ সঙ্গত কারণেই সংশ্লিষ্টদের হতাশা নিরসনে অবদান রাখবে। পিএসসির পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ দফতর অধিদফতরের শূন্যপদের সংখ্যা জানা গেলে ৩৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ও ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশ করা সহজতর হবে। কর্মসংস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকারের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকার শ্রদ্ধাশীল হবে এমনটিই কাম্য। পিএসসির পদক্ষেপে এ বিষয়টির যে প্রতিফলন ঘটেছে তা প্রশংসার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর