সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পর্যটনে অচলাবস্থা কাটছে

পর্যটকদের আস্থা ধরে রাখতে হবে

পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় দেশের পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হতে শুরু করেছে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প এক ভয়াবহ ধকলের শিকার হয়। বিদেশিদের মধ্যে গুলশানের হামলা এতটাই আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে, দলে দলে তারা বাংলাদেশ ছাড়তে শুরু করে। বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য যেসব বিদেশি আগে থেকে হোটেল মোটেল বুকিং করেছিলেন তারা বুকিং বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পর্যটন ক্ষেত্রে দেখা দেয় হতাশা। তবে গত চার মাসে জঙ্গিবিরোধী তত্পরতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্য এবং বিদেশিদের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের আস্থাও ফিরে এসেছে। দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের ভিড় এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ বছর আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবন। সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রে এ বছর মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ভিড় জমে উঠেছে। পর্যটকদের বেশিরভাগ দেশি হলেও বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। স্মর্তব্য, সুন্দরবনের করমজলে রয়েছে হরিণ ও বানরের বিচরণস্থল, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, কুমির ও কচ্ছপের প্রজননকেন্দ্র, ডলফিন এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রতিকৃতিসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থাপনা। করমজল ছাড়াও হারবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিড় সামলাতে পর্যটন ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের সদস্যদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হলেও পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধিকে তারা আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ জন্য নদীতে নৌ-পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় দুটি নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সঙ্গে পুলিশ দেওয়া হচ্ছে। শুধু সুন্দরবন নয়, সিলেট, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে এ আস্থা ধরে রাখা সম্ভব হবে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান ঘটবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর