মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

দেশি পণ্যে আস্থা সৃষ্টিতে অবদান রাখুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী ২২তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে ব্যবসায়ীদের জিএসপি সুবিধার পেছনে না ঘুরে নতুন বাজার খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের এ সুযোগটাও নিতে হবে। বাংলাদেশে যোগ্য ও মেধাবী মানুষের অভাব নেই। তাদের শুধু পথ দেখাতে হবে। প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সুযোগ পেলেই তারা যে কোনো ধরনের পণ্য তৈরিতে সক্ষম হবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গাইডলাইন হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবিদার। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে যে জিএসপি সুবিধা দিত তা ছিল প্রকারান্তরে শুভঙ্করের ফাঁকি। সে দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির সিংহভাগ হিস্যা তৈরি পোশাক খাতের। কিন্তু তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কখনই জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। সিরামিকসহ যেসব পণ্য জিএসপি সুবিধা পেয়েছে সে সুবিধা এতই তুচ্ছ যে তা পাওয়া না-পাওয়ার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার সত্ত্বেও গত কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। নতুন বাজার সৃষ্টি করা গেলে এ খাতে রপ্তানি বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব। রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপ, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ও আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিরাট সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে বলেছেন, গত চার দশকে চামড়া খাতে রপ্তানি প্রায় ৭১ গুণ বেড়েছে। রপ্তানিকে পোশাক খাতে সীমাবদ্ধ না রেখে বহুমুখী করার যে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। বাণিজ্য মেলা দেশ-বিদেশের পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের ধারণা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করব দেশি পণ্যের ওপর ক্রেতাদের আস্থা সৃষ্টিতে

এ বাণিজ্য মেলা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর