শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

গ্যাস সংকট

জ্বলছে না চুলা, জনজীবনে ভোগান্তি

রাজধানীতে গ্যাস সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে এবং তা জনজীবনে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ সংকট। শীত মৌসুমে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে শীতে গ্যাসের চাহিদা থাকে তুলনামূলক বেশি। একদিকে সরবরাহ কম অন্যদিকে পাইপে গ্যাসের সহজাত উপাদান কনডেনসেট জমে সরবরাহ-ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার চেয়ে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ করা হয়। তবে বোদ্ধাজনদের মতে ঘাটতির পরিমাণ আরও বেশি। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় চুলা জ্বালাতে গিয়ে গৃহিণীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। মগবাজার, মধুবাগ, মিরবাগ, মুগদা, বাসাবো, মাদারটেক, কদমতলা, মিরপুর সর্বত্রই তীব্র গ্যাস সংকটের শিকার গৃহিণীরা। কেরানীগঞ্জ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরেও রয়েছে অভিন্ন সংকট। সকালে নাস্তা করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে এবং কর্মজীবীদের কর্মস্থলে পাঠানো গৃহিণীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশার বাণী শুনিয়ে বলেছে, শীত চলে গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে গ্যাস সংকট অদূর ভবিষ্যতে কমার সম্ভাবনা সত্যিকার অর্থেই ক্ষীণ। কারণ রাজধানী ও ধারেকাছের বিপুলসংখ্যক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতির সম্পর্ক থাকায় তা উপেক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। সমস্যা সমাধানে সরবরাহ বাড়ানোই হলো সবচেয়ে ভালো উপায়। পাশাপাশি ঘনবসতিগুলোর গ্যাস সরবরাহ লাইনের সংস্কারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সংকীর্ণ পাইপলাইনের কারণে বহু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগ কমাতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এদিকেও নজর দিতে হবে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অপচয় রোধের পথও খুঁজে বের করতে হবে। গ্যাস সংকট যেহেতু জনজীবনে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেহেতু এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর