বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আর চাই না

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আর চাই না

নাসিকের মতো একটি ভালো নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হলো সম্পূর্ণরূপে বিরোধী দলের অংশগ্রহণবিহীন জেলা পরিষদের মতো আরেকটি একক নির্বাচন। যাতে দেশবাসীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে তেমন কোনো উত্সাহ-উদ্দীপনা ছিল না। তাই তো বলতে হয়, সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভালোর পরিবর্তে মন্দের ধারাবাহিকতা যেন আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে কার্যত নস্যাত্ করতে বসেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই নিয়ে। হানাহানি, বল প্রয়োগ ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হচ্ছে এই নির্বাচনকেই ঘিরে। এই সমস্যা নিরসনকল্পে একটি কার্যকর ও যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারছি না। যা আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ও তত্পরবর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে অস্বস্তিকর সংকটের আবহ তৈরি হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ বলে অভিহিত করলেও বিএনপি বলছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’। কোনটা ‘বিজয়’ আর কোনটা ‘হত্যা দিবস’ সে বিচারের ভার না হয় আমরা ছেড়ে দিলাম আমজনতার ওপর। তারপরও সমাজের নানা কর্নার বা গণমাধ্যমের কল্যাণে যে সমস্ত আলোচনা-সমালোচনা আমাদের কানে আসে তার ওপর ভিত্তি করে বলতে চাই যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ নজির হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ক্ষমতাসীন দল ৫ জানুয়ারির দিনটিকে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা হিসেবে কর্মসূচি পালন করলেও বিরোধী দল বিএনপিকে দেশে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। এতে বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকার ও গণতন্ত্র।  

অংশগ্রহণমূলক একটা সুন্দর-সাবলীল পরিবেশে জনগণ তাদের প্রত্যক্ষ ভোট প্রদানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে এটাই সার্বজনীন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। কিন্তু বিগত দিনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই আমরা এ ধরনের বৈশিষ্ট্যের আলামত তেমন দেখতে পাচ্ছি না। বিশেষ করে সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বরে সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হলো এতে সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচিত করেছে। পাকিস্তানের তদানীন্তন সামরিক প্রেডিডেন্ট আইয়ুব খান ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’ নামে এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। সেই একই আঙ্গিকে তা আবার আমাদের দেশে ফিরে এলো জেলা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ২২ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৬ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ভোটপ্রদান ছাড়াই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের যে পথ তৈরি হয়েছিল তারই অশুভ একটি ধারাবাহিকতা রেখে গেলেন এই নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনটি ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন হলেও এক-তৃতীয়াংশ জেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ ইতিমধ্যে এ নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এ নির্বাচন মূলত গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করে তুলল। এতে করে জনগণের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের আরও দূরত্ব সৃষ্টি হবে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন।

নাসিক নির্বাচনে বিএনপির জন্য বার্তা ছিল, চারদিকে পানি আছে কিন্তু পান করার পানি নেই। অর্থাত্ প্রচুর সমর্থক থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনী ফসল ঘরে তোলার সক্ষমতা অর্জনের ব্যর্থতা। বিএনপিকে ভবিষ্যত্ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিটি নির্বাচনী বুথের জন্য দক্ষ, সাহসী, উত্সজনকৃত (ডেডিকেশন) এজেন্ট দেওয়ার বিষয়টি চিন্তায় আনতে হবে। তবে যে কোনো নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতি অবশ্যই নির্বাচনী ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ প্রয়োজন। যা সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান উপাদান। এবারের নাসিক নির্বাচনে এটার কিছুটা কমতি ছিল বলে অনেকে মন্তব্য করেন। কিন্তু ২০১১ সালে নাসিক নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের’ কোনো কমতি ছিল না। তথাপি মামলা-হামলা-নির্যাতন-নিপীড়নসহ অজস্র প্রতিকূল ও বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নাসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ মহত্ গণতান্ত্রিক চর্চার ইতিবাচক দিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। আবার প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করার মানসিকতা গণতন্ত্রের এক উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবেও মূল্যায়ন করা যায়। ভবিষ্যতের সব নির্বাচন যাতে অন্তত নাসিকের মতো হয় সেরকমটা আমরা সরকারসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে আশা করতে চাই। এক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দক্ষ, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে এবং যারা সরকারের সমস্ত প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে। সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে এ নির্বাচন কমিশন যেন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে।

গত ১২ জানুয়ারি সরকারের তিন বছর পূর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে সরকারের বিশাল উন্নয়নের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারের গত তিন বছরের কার্যক্রমকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করলেও বস্তুত মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সরকারের অনেক সাফল্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাবে সর্বত্র একটা অস্থিরতা যে রয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নির্বাচনের সময় উল্লেখ থাকলেও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কোনো সুস্পষ্টতা নেই। অথচ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সমগ্র জাতি আজ উদ্ভূত সমস্যার যৌক্তিক সমাধান আশা করে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে যার প্রতিফলন থাকা উচিত ছিল। 

বাংলাদেশে আর যাতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন না হয় সে কারণে রাজনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট আইনজীবীসহ সমাজের সচেতন মানুষ ইসি পুনর্গঠনে আজ রাষ্ট্রপতিকে শেষ ভরসাস্থল হিসেবে মনে করছেন। যদিও সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকায় তার উদ্যোগের সফলতা সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। তথাপি রাষ্ট্রপতি এক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জাতি হূদয়চিত্তে প্রত্যাশা করে। এক্ষেত্রে সরকারেরও আগের মতো নেতিবাচক মনোভাব পরিত্যাগ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর কেবিনেট সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আবারও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত সভায় তিনি বলেছেন, বর্তমান সংবিধানের আলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাহলে আগামীতে সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী ইসি পুনর্গঠনসহ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ধারণা-আলোচনা ও প্রত্যাশার বিষয়ে বিস্তর সন্দেহের জন্ম দেয়। আবার যখন গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ ভারতের দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের লেখা ‘ট্র্যাজেডি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিবন্ধে দেখি, ‘শেখ হাসিনা বর্তমানে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নন। বিরোধী দল বলছে, তারা তাকে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না, কারণ তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে মোটেই আগ্রহী নন’- তখন বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আর হবে না এই বিশ্বাসের মূলে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। দেশে পুলিশ প্রহরায় ক্ষমতাসীন দলের সভা-সমাবেশ করার নিরঙ্কুশ অধিকার থাকলেও বিরোধী দল বিএনপির সেই অধিকার ভূলুণ্ঠিত। আদর্শগত অবস্থান থেকে বিগত ৭ নভেম্বর ও ২০১৭-এর ৫ জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশ করলেও বিএনপি তা করতে পারেনি। গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকারের ওপর এমন খড়্গহস্ত আমরা স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলেও দেখিনি। অথচ এগুলো ছাড়া গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ সম্ভব নয়, সভ্য সমাজ গড়ে ওঠা তো দূরের কথা।

ইদানীংকালে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোচিত বিভিন্ন আলোচকের আলোচনা থেকে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট মনে হচ্ছে তা হলো, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার যেমনই হোক আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। কেন না নির্বাচন কমিশনের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো দল দুবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। বিষয়টি এতটা সরলরৈখিক বলে মনে হয় না। সবকিছু নিজেদের অনুকূলে রেখে যেনতেন প্রকারের একটা নির্বাচন দিলেই বিএনপি তাতে অংশগ্রহণ করবে, সংকট শেষ হয়ে যাবে- এমনটি ভাবার কোনো অবকাশ আমি দেখি না। বরং এসব অগণতান্ত্রিক ও অসত্ চিন্তা থেকে সবার বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ আমাদের দেশের বর্তমান সংকটের উদ্ভবই হয়েছে একটা প্রশ্নহীন, ভালো ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাবে এবং যে সংকটটি সমগ্র জাতির মধ্যে মহীরুহ আকার ধারণ করেছে। সাজানো তথা গৃহপালিত বিরোধী দল নিয়ে যদি আবার নির্বাচন করা হয় অথবা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ভোট প্রদানের আগেই একটি দল সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে তাহলে সে নির্বাচনও জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে। যেমনটি বিগত নির্বাচনে হয়েছে বিদেশসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে। তাই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক তা আমরা কায়মনোবাক্যে কামনা করি না। এতে বরং হিতে-বিপরীত হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটটি রয়েই যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ ও দেশের মানুষ।

বলা বাহুল্য, কর্তৃত্ববাদী কায়দায় একটি বিশেষ অবস্থায় বা বিশেষ সময়ের জন্য হয়তো কোনো অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা যায় কিন্তু সবসময়ের জন্য তা করা যায় না। তাহলে হিটলার-মুসোলিনিদের মতো শাসকদের পতন হতো না, আবার নেলসন ম্যান্ডেলার মতো অবিসংবাদিত নেতার আবির্ভাব ঘটত না। উদারনৈতিক মনোভাব নিয়ে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ প্রকৃত গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করা সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। যে অধিকার আদায়ের জন্য তারা নিজেরাও একসময় নিরন্তর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন। এ কথা মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক হোক আর ব্যক্তিগত হোক জীবনের সব যুদ্ধে বিজয় অর্জন করা যায় না। তাছাড়া রাজনৈতিক নেতৃত্ব হঠকারী বা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তার পরিণাম নিজেদের জন্য ভালো হয় না। ইতিহাস অন্তত তাই বলে। রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় ক্ষমতার পালাবদলে ও জনগণের সার্বভৌমত্বে গণতন্ত্র যেমন অপরিহার্য আবার গণতন্ত্রের জন্য প্রশ্নহীন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও পরমতসহিষ্ণুতা আবশ্যিকভাবে প্রয়োজনীয়। অবাধ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন না থাকলে সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। আর গণতন্ত্র হারিয়ে গেলে তার পরিণতি কখনোই ভালো হয় না। তাই সামাজিক শান্তি ও আইনের শাসন সুনিশ্চিত করতে সরকারসহ সব রাজনৈতিক দলের উচিত কীভাবে পরবর্তী নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করা যায় তার ওপর একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা।

এ উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ, দক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনে ‘লেভেল ফ্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির জন্য সাংবিধানিকভাবে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার তৈরি বা গঠনের মেকানিজমও সবাইকে বের করতে হবে।  জাতি প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রহসনের কোনো নির্বাচন আর দেখতে চায় না। বলিষ্ঠ গণতন্ত্রসহ শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে আপাতত এর কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : চেয়ারম্যান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর