শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করেন আল্লাহ

মুফতি মাও. মুহাম্মদ মানজুর হোসাইন

ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করেন আল্লাহ

বিশ্বজগতের স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও তার জান্নাতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও। যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিন পরিব্যপ্ত। যা তৈরি করা হয়েছে আল্লাহভীরুদের জন্য।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩৩)। সাধারণত মানুষ প্রবৃত্তির তাড়না এবং শয়তানের প্ররোচনায় গুনাহ করে থাকে। আমাদের আদি পিতা আদম (আ.) এবং মা হাওয়া (আ.) শয়তানের প্রতারণামূলক কথায়, আল্লাহর নির্দেশ ভুলে গিয়ে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে ফেলেছিলেন। অতঃপর আদম (আ.) ও বিবি হাওয়ার ভীতি ও কান্নাবিজড়িত ক্ষমা প্রার্থনায় দয়াপরবশ হয়ে আল্লাহতায়ালা তাদের ক্ষমা করে দেন এবং পরবর্তীতে এরূপ ভুল না করার জন্য সাবধান করে দেন। অতঃপর মানব জাতিকে দুনিয়ার বুকে ও পরকালে সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত করার জন্য তার ক্ষমার ধারা বহাল রাখেন। অর্থাৎ আদম (আ.)-এর পরবর্তীকালেও মানুষ পাপ করে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন বলে ঘোষণা করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মন্দ কাজ করে ও এরপরে তওবা করে ও ইমান আনে, নিশ্চয়ই তোমার প্রভু উক্ত তওবার পরে ক্ষমাশীল ও দয়াবান’। (সূরা আরাফ : ১৫৩)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ পাপকর্ম করে অথবা নিজের জীবনের প্রতি অবিচার করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে’। (নিসা : ১১০)। মূলত ক্ষমা প্রার্থনা তথা ইস্তেগফারও উঁচু পর্যায়ের ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তবে এ ক্ষমা প্রার্থনা অবশ্যই অকৃত্রিম হতে হবে। কারণ ক্ষমাই হলো মানবজাতির পবিত্রতা লাভের একমাত্র মাধ্যম। সুতরাং ইস্তেগফার ব্যতীত কেউই আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছতে পারবে না। আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-এর কোনো গুনাহ ছিল না। তথাপিও তিনি সবচেয়ে বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতেন। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি দৈনিক সত্তরবারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (বুখারি)। নবী (সা.)-এর উম্মত হিসেবে আমাদেরও একান্ত কর্তব্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। পরিশেষে বলব, আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল।

লেখক : খতিব, বাইতুদ দাউদ জামে মসজিদ, মিরপুর, ঢাকা

সর্বশেষ খবর