বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন নির্বাচন কমিশন

জাতির প্রত্যাশা সুষ্ঠু নির্বাচন

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সচিব নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চার কমিশনারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১২তম নির্বাচন কমিশনের কমিশনার পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে সার্চ কমিটির দেওয়া প্রস্তাবিত নামের ভিত্তিতে। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাদের পছন্দের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোকদের একটি তালিকা সার্চ কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কারোর প্রস্তাবই গ্রহণ করেননি। ক্ষমতাসীন দল নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানালেও বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। জনতার মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করার যথার্থতা নিয়েও দলটি প্রশ্ন তুলেছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সুশীল সমাজের মনোভাব ইতিবাচক। তাদের মতে, কমিশনে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের তেমন কোনো বদনাম নেই। তবে কাজের মাধ্যমে কমিশনকে নিজেদের সাহস ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। সন্দেহ নেই জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে যখন দলবাজির চর্চা চলছে, তখন অবিতর্কিত ও নিরপেক্ষ কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিকার অর্থে কঠিন। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার পদে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে বড় কোনো বিতর্ক নেই। ব্যক্তি হিসেবে যে কারোরই রাজনৈতিক বিষয়ে পছন্দ-অপছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারবৃন্দ সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সব সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন এমনটিই কাঙ্ক্ষিত। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব রাজনৈতিক দল তথা সরকার এবং রাষ্ট্রের সব অংশ সক্রিয় সহযোগিতা দেবে এমনটিই কাম্য। আমরা আশা করব, নতুন নির্বাচন কমিশন নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে সচেষ্ট হবে।  সবার আস্থা অর্জনে যার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর