বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ

সক্রিয় নিরপেক্ষতার অনুসরণ কাম্য

দেশবাসীর আস্থা অর্জন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করা নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ না নেওয়ায় তা পরিণত হয় একতরফা নির্বাচনে। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে ভোটাররাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ডে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের অংশগ্রহণের স্বাধীনতা যেমন আছে তেমন রয়েছে নির্বাচন বর্জন করার অধিকারও। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যেহেতু তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়টি জড়িত সেহেতু সব দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে মনোযোগী হতে হবে। সব পক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের সামনে আগামী সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি আগের পথ থেকে বেরিয়ে নিজেদের নির্বাচনমুখী দল হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও বেশ কিছু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিত হবে এক বা একাধিক উপনির্বাচনও। এসব নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে তারা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপিসহ বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে মনোযোগী হবেন এমনটিও কাম্য। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণের জটিলতা নিরসনেও তাদের নিরপেক্ষতার পাশাপাশি সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার আশ্রয় নিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সংসদ বহির্ভূত বিরোধী দল বিএনপি কিছুটা আপত্তি থাকলেও তারা নবগঠিত কমিশনকে মেনে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। এই ইতিবাচক ধারাকে উৎসাহিত করতে নির্বাচন কমিশনকেও যত্নবান হতে হবে। সব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্রিয় নিরপেক্ষতার প্রমাণ রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর