বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

জননিরাপত্তায় নজর দিন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার এ ধরনের দুটি ঘটনা ঘটেছে মহানগরীতে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হলেও ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে কিছুই নিতে পারেনি, ধারে-কাছের লোকজন ছুটে আসায় অন্য ঘটনায় ১২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাজধানীর উত্তরায় চলন্ত গাড়ি থামিয়ে মা ও মেয়েকে গুলি করে ছয় লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা। রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে এবং এর একাংশের সঙ্গে জড়িত সুসংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। মাদকাসক্তরাও মাদকের জন্য প্রায়শই বেছে নেয় ছিনতাইয়ের পথ। রাজধানীতে ছিনতাইয়ের যত ঘটনা ঘটে তার একটা ক্ষুদ্র অংশই পুলিশের নজরে আসে। গুলি বা বড় অঙ্কের কোনো ছিনতাই না হলে সাধারণ মানুষ প্রতিকার পাওয়ার বদলে উটকো ঝামেলা পোহানোর ভয়ে থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয় না। সে বিবেচনায় তিন দিনে গুলি করে তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগজনক বিষয়। রাজপথে ছিনতাইয়ের ঘটনা নাগরিকদের পথ চলার স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত। দুই দশক আগে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্য দিনের বেলায় ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাইয়ের সাহস দেখাত। সন্ধ্যার পর রাজধানীতে চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংকটে ভুগতে হতো। র‌্যাব গঠন ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধির পর এসব ক্ষেত্রে তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ সাফল্যকে ধরে রাখতেই ছিনতাইয়ের ঘটনা হঠাৎ বৃদ্ধির যে প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তা রুখতে হবে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে মানুষের নির্বিঘ্নে পথ চলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে মাদকাসক্তদের সম্পর্ক থাকায় মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধেও কঠোর হতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হলে রাজধানীবাসীর জন্য সহজেই স্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর