শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মিরসরাই শিল্পনগরী

বিনিয়োগের দিশা হয়ে উঠুক

দেশের প্রথম পরিকল্পিত শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে, যার প্রথম ধাপের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হওয়ার পথে। সাগর ঘেঁষে ৩০ হাজার একর এলাকাজুড়ে এ শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠিত হলে এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডরের শিল্পোৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাবে এ শিল্পনগরী। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখিয়ে থাকলেও শিল্প স্থাপনের যুৎসই জায়গার অভাবে তাতে গতি সৃষ্টি হচ্ছে না। আশা করা হচ্ছে, মিরসরাই শিল্পনগরী এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। দেশের শিল্পায়নের এ সম্ভাবনাময় কেন্দ্রটির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে। এ জন্য ১০ কিলোমিটারের চার লেন সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। স্মর্তব্য, প্রায় ১৯ বর্গ কি.মি. আয়তনের এ শিল্পনগরী মিরসরাই ও ফেনী এ দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে যুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তৈরি পোশাক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল, পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট শিল্প, সিমেন্ট, জাহাজ নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক, স্টিল মিল এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসভিত্তিক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় কয়েক হাজার শিল্প প্লট গড়ে তোলা হবে এ শিল্পনগরীতে। যার মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ১০টি ইকনোমিক জোন উদ্বোধন করেন তার মধ্যে মিরসরাই অন্যতম। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে এ প্রস্তাবিত শিল্পনগরীর দূরত্ব ১০ কি.মি. এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে মেরিনড্রাইভ রোডে এর দূরত্ব হবে ৫৫ কি.মি.। এ শিল্পনগরীকে কেন্দ্র করে পৃথক সমুদ্রবন্দর করারও সুযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ শিল্পনগরীর প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫৫০ একর জমির অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শেষের দিকে। দ্বিতীয় পর্বের আরও ১৩০০ একর ভূমি উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। মিরসাইয়ে শিল্পনগরী স্থাপন দেশের শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মাইলফলক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। আশা করা যায় এ শিল্পনগরীতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহীকরণে আনুষঙ্গিক সব সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগের দিশা হয়ে দেখা দেবে এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর