শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইসির নির্বাচনী পরীক্ষা

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জে জিততে হবে

নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সামনে মার্চে আবারও হাজির হচ্ছে নতুন পরীক্ষা। এ নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সক্ষমতা রাখে তা প্রমাণ রাখতে মার্চের পুরোটাই তাদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে। মার্চের ৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ১৮ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার নির্বাচন। গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ মার্চ। ৩০ মার্চ একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচন। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ পর্যন্ত একটি ছোট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত সে নির্বাচন ভোটার ও বিজয়ী পক্ষের কাছে শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রশংসা করলেও পরাজিত দুই প্রার্থী নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে কারচুপির অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরাজিত পক্ষের ঢালাও অভিযোগ ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কোনো পক্ষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেনি বা এ নিয়ে মাঠে নামেনি। সেদিক থেকে বলা যায় নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ক্ষোভ ও আক্ষেপ থাকলেও তাদের অধীন অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনকে তারা মেনে নিয়েছে। মার্চজুড়ে যে ২৫টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতেও তারা অংশ নিচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক দিক। নির্বাচন কমিশন তাদের অধীন অনুষ্ঠিত ক্ষুদ্র পরিসরের নির্বাচনে নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারলেও তাতে আত্মপ্রসাদ লাভ করে বসে থাকার অবকাশ নেই। রাজনীতির সব পক্ষের আস্থা অর্জনে মার্চে যে ২৫টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো যাতে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে ব্যাপারে তাদের তত্পর হতে হবে। নির্বাচন কমিশন যাতে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকেও হতে হবে যত্নবান। নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃশ্যত নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলেও নির্বাচন পরিচালনার লোকজন এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুতে কমিশন সরকারের ওপর নির্ভরশীল। নিজেদের সুনাম পুনর্গঠনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর