মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুমিনদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন থাকতে হবে

আব্দুর রশিদ

মানুষ মাত্রই আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়ার উত্তরসূরি। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের পরস্পরকে ভাই হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পরের ভাই’। (৪৯:১০)। হাদিসেও বলা হয়েছে এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। এটা রক্তসম্পর্কীয় না হলেও তার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাই ভাইয়ের ওপর যেমন দায়িত্ববান হয়ে কাজ করেন তেমনি এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে দীনি ভাই মনে করে তার সব অধিকার সংরক্ষণ করবেন। কোনোক্রমেই যেন তার দ্বারা অন্য মুসলমান ভাইয়ের অধিকার লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান সেই ব্যক্তি যার হাত ও জিবের অনিষ্ট থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে। আর মুমিন সেই ব্যক্তি যার সম্পর্কে লোকেরা এই আস্থা রাখে যে, তার দ্বারা তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। (তিরমিজি, নাসাঈ)।

মুসলমান তথা মুমিনদের সর্বক্ষেত্রে কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে উত্তম মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

বায়হাকির শুয়াবুল ইমানে আরও আছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নিজের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করে সে-ই প্রকৃত মুজাহিদ। আর যে ব্যক্তি নাফরমানির পথ পরিত্যাগ করেছে সে-ই প্রকৃত মুহাজির (মিশকাত)।

এক মুসলমান যেহেতু অন্য মুসলমানের ভাই, সেহেতু ভাষা, বর্ণ ও জাতিগত পার্থক্য থাকলেও পরস্পরের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে। ইসলাম নামের ভবনের অংশ দুনিয়ার সব মুসলমান। এক মুসলমানের দুঃখ-কষ্টে অন্য মুসলমান সাথী হবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত। এক মুসলমান অন্য মুসলমানের কল্যাণকে সর্বাবস্থায় কামনা করবে আল্লাহ তেমনটিই দেখতে চান। এই বোধ মুসলমানদের ভ্রাতৃত্ববোধকে জোরদার করবে। মুসলমানদের ঐক্যকে দৃঢ় করবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দিন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর