বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

আট বছরে বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৬ কোটি মানুষের কাছে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ

বাংলাদেশ প্রতিদিন আট বছরে পদার্পণ করছে আজ। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সাত বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন। শুরু থেকেই দেশবাসীকে ভরসার স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম আমরা। ‘আমরা জনগণের পক্ষে’— এই অঙ্গীকার থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন কখনো পিছু হটেনি। পাঠকদের নিরঙ্কুশ ভালোবাসায় প্রথম বছরেই প্রচার সংখ্যার শীর্ষে পৌঁছা সম্ভব হয়। দেশবাসীর ভালোবাসায় সে অবস্থান শুধু ধরে রাখা নয়, গত সাত বছরে প্রতিদিনই আরও বেশি পাঠক জড়ো হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাফেলায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন পথচলার ক্ষেত্রে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত না করার ঐশী নির্দেশনাকে অনুসরণ করেছে সর্বতোভাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়কে আমরা পাথেয় হিসেবে নিয়েছি। নেতিবাচক মনোভাবের বদলে সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। গণমানুষের এই দৈনিক—মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তবিবেকের প্রতিধ্বনি হিসেবে চিহ্নিত হতে চেয়েছে। চলার পথে কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়, নিজেকে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করার চেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিদিন সচেষ্ট থেকেছে। প্রত্যাশা পূরণে সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য বহু ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করলেও ইপ্সিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনো পিছপা হইনি। আট বছরে পদার্পণের এই শুভ মুহূর্তে আমরা পাঠকদের আশ্বস্ত করতে চাই, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলা অব্যাহত রাখবে। কোটি মানুষের দৈনিক হিসেবে নিজেদের যে গর্বিত পরিচিতি গড়ে উঠেছে সে মর্যাদা রক্ষায় আমাদের কোনো কার্পণ্য থাকবে না। প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে থাকার কৃতিত্বে আত্মতৃপ্তি নয় বরং আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়াকে আমরা করণীয় হিসেবে বেছে নেব। সংবাদ পরিবেশনে সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতিতে অটল থাকবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর বদলে ১৬ কোটি মানুষের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার নীতি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।  এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সহৃদয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা এবং শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন অব্যাহত রাখার সনির্বন্ধ আবেদন জানাই। বাংলাদেশ প্রতিদিনের শুভ জন্মদিনে সবাইকে অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর