শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিটিংয়ের বদলে চিটিং

পরিবহন মালিকদের দুর্মতি কাম্য নয়

রাজধানীতে সিটিং বা গেটলক বাস সার্ভিস বন্ধের মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। যাত্রীরাও খুশি হয়েছিলেন বাস মালিকদের শুভবুদ্ধির উদয়ের ঘটনায়। কিন্তু এটি যে সাইলকদের আরও ঘৃণিত অপকৌশল সে সত্য স্পষ্ট হয়েছে সিটিং ও গেটলক সার্ভিস উঠে যাওয়ার পর প্রথম দিনের ঘটনায়। গত রবিবার সিটিং সার্ভিসের বদলে চিটিংয়ের শিকার হতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। বলা হয়েছিল সিটিং বা গেটলক সার্ভিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আর আদায় করা যাবে না। কিন্তু যাত্রীরা তাজ্জব হয়ে দেখলেন, প্রতিটি বাসে মুড়ির টিনের মতো যাত্রী ভর্তি করে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির গত ৪ এপ্রিলের ঘোষণা যে স্রেফ চিটিং তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়েছে কিনা দেখতে রাজধানীর কয়েকটি স্পটে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত বসায় শাস্তির ভয়ে গত দুই দিন রাজধানীতে বেশির ভাগ বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বাসের অপেক্ষায় শত শত যাত্রীকে বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে গ্রীষ্মের দাবদাহে ভুগতে হয়েছে। যাত্রীদের স্বস্তিদানের নামে পরিবহন মালিকরা যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এটি পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মানসিকতার প্রতিফলন কিনা তা হয়তো তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমরা শুধু বলব, রাজধানীর বাস সার্ভিসগুলো যাতে যাত্রীবান্ধব হয় সে ব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যথেচ্ছতার যে স্বাধীনতা পরিবহন মালিকরা ভোগ করছেন সেই দুর্মতির অবসানও কাম্য। রাজধানীতে বাস সার্ভিসের নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা বন্ধে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। যেমন ইচ্ছা ভাড়া আদায় বন্ধ করাই শুধু নয়, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধেও নিতে হবে পদক্ষেপ। রাজধানীতে যানজটের পেছনে ব্যস্ত সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী বোঝাইয়ের প্রবণতা অনেকাংশে দায়ী। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে দেখেও না দেখার যে মনোভাব রয়েছে, তার আশু অবসানও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর