বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যা

অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কাম্য

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বাসচালক এবং তার সহকারীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজের ছাত্রী রূপা খাতুন। নরপশুরা তাদের লালসা মেটানোর পর রূপাকে হত্যা করে সড়কের পাশে বনে ফেলে রেখে যায়। গত শুক্রবার আল্লাহর আরশ কাঁপানো এ পৈশাচিক ঘটনার পর পুলিশ তরুণীর পরিচয় উদ্ধার করতে না পেরে পরদিন শনিবার তার লাশ দাফন করে। সোমবার রাতে রূপার ভাই তার নিখোঁজ বোনের খোঁজে মধুপুর থানায় আসে এবং রূপার পরনের সালোয়ার কামিজ দেখে নিজের বোন হিসেবে শনাক্ত করে। একই সঙ্গে থানায় বোনকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা করে। নিহত রূপা খাতুন অনার্স শেষ করে ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজে এলএলবি অধ্যয়নরত ছিলেন। পাশাপাশি শেরপুর জেলায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রোমশনাল ডিভিশনেও কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি বগুড়া যান। পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে তার এক সহকর্মীর সঙ্গে যাত্রা করেন। সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় নেমে যান। রূপা ওই বাসেই ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ময়মনসিংহ না পৌঁছায় তার সহকর্মীরা মুঠোফোনে কল করলে এক যুবক তা রিসিভ করে এবং রূপা ভুল করে ফোন ফেলে রেখে গেছে জানিয়ে লাইন কেটে দেয়। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে কর্মস্থলে না পৌঁছায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের শেরপুর অফিস থেকে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে খোঁজ করা হয়। রূপার ভাই এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মধুপুর থানা পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত বাসের সন্ধানে ব্যাপক তৎপরতা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাসচালক হাবিসহ পাঁচ নরপশুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের তিনজন তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। স্মর্তব্য, টাঙ্গাইলের মধুপুর সড়কে গত বছরের মার্চে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন গার্মেন্ট কর্মী। আমরা আশা করব রূপা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ধর্ষকদের মধ্যে ভয় ঢুকাতে আইন এক্ষেত্রে সঠিক পথে চলবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর