বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পদ্মায় নাব্য সংকট

ফেরি চলাচলে বিঘ্ন

একদিকে নাব্য সংকট অন্যদিকে প্রবল স্রোতে বেশির ভাগ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিসংবাদ ডেকে এনেছে। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী নৌপথের ১৯টি ফেরির বেশির ভাগই বন্ধ। যে কটি ফেরি চালু আছে সেগুলো ছোট মাপের এবং স্বভাবতই একেক ফেরিতে গুটিকয়েক গাড়ি পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে। পরিণতিতে দুই তীরে যানবাহনের দীর্ঘলাইন পড়েছে। শত শত যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় অলস সময় কাটাচ্ছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই রুটে ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত রবিবার রাত ৩টার দিকে রায়পুরা, লেনটিন ও যমুনা নামের তিনটি ফেরি ডুবোচরের প্রতিবন্ধকতায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়। ফেরির যাত্রীদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। পরে স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। ভাদ্র শেষে যখন দেশের নদ-নদীতে ভরা যৌবনের হাতছানি সে মুহূর্তে পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় নাব্য সংকটে ফেরি চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী যেতে গত পাঁচ দিনে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই চ্যানেলে যানবাহন পারাপারের কাজে ব্যবহূত রো রো ফেরিগুলো চরে আটকে যাওয়ার কারণে বন্ধ থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শত শত পণ্যবাহী ট্রাক চার-পাঁচ দিন ধরে আটকে আছে দুই তীরে। রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ সংকটের সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌ চ্যানেলের নাব্য রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নৌ চ্যানেলটিতে ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ  পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।  তবে শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ী ফেরি রুটের গুরুত্ব বিবেচনায় ঈদের আগেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। পদ্মা সেতু চালু না হওয়া পর্যন্ত ফেরি রুটের নাব্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষ চোখ-কান খোলা রাখার চেষ্টা রাখবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর