রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির

জামিল হাসান

বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির

বান্দরবানের মহাসুখ মন্দির তার সোনালি রঙের জন্য ‘স্বর্ণমন্দির’ নামে খ্যাত। মহাসুখ মন্দির বান্দরবান জেলা শহর থেকে ৩ কিমি পশ্চিমে বালাঘাটা এলাকার নাতিউচ্চ পাহাড়চূড়ায় স্থাপিত। মিয়ানমার থেকে কারিগর এনে এটি তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। মন্দিরের বাইরের অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠে তিব্বত, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভুটান, মিয়ানমার, কোরিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের শৈলীতে সৃষ্ট ১২টি দণ্ডায়মান বুদ্ধ আবক্ষ মূর্তি এখানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর মন্দিরের অভ্যন্তরে কাঠের ওপর অসাধারণ সুন্দর রিলিফ ভাস্কর্য কর্ম মিয়ানমারের কাঠের শিল্পকর্মের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করায়। মন্দির চত্বরের গড়ুড় স্তম্ভ ও পাখি দর্শনার্থীদের বিমুগ্ধ করে। মন্দির থেকে দেখা যায় পুব দিকে বান্দরবান শহর ও চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি রয়েছে এবং এটি দেশের সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির। বৌদ্ধ মন্দির স্থানীয়দের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত। বুদ্ধ জাদি পাই কিয়াং বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। বান্দরবান জেলায় দেশের সর্বোচ্চ দুই পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং ও কেওক্রাডং অবস্থিত। শহরকে বেষ্টন করে সাঙ্গু নদ বয়ে চলেছে। এই পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর।

মন্দিরটি শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানই নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিতি পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়; মূলত সোনালি রঙের জন্যই এর নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির বাস ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম থেকেও বান্দরবান যেতে পারেন। বহদ্দারহাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে দুটি  পরিবহনের বাস যায়। এরপর বান্দরবান বাস স্টেশন থেকে রিকশা অথবা ট্যাক্সি করে যাওয়া যায়। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এখানে গাড়ি চলাচল করে।

সর্বশেষ খবর