রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইতিহাস

খালিদ-বিন-ওয়ালিদ

অমিততেজ খালিদ-বিন-ওয়ালিদ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের একজন অতুলনীয় বীর। তার শৌর্যবীর্য, বীরত্ব, উদ্যম, সাহস তাকে ইসলামের সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে এক অতুলনীয় মর্যাদার অধিকারী করেছে। খালিদ ছিলেন মক্কার কুরাইশ বংশের সন্তান। তিনি মহানবীর সমসাময়িক ছিলেন। ষষ্ঠ হিজরি পর্যন্ত তিনি ছিলেন ইসলাম ও মহানবীর চরম শত্রু। এ সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে তিনি বিধর্মীদের সঙ্গে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। উহুদের যুদ্ধে বিধর্মীদের পক্ষে তিনি অসাধারণ রণচাতুর্যের পরিচয় দেন। এ যুদ্ধে তিনি কুরাইশ বাহিনীর অগ্রভাগে ছিলেন। হোদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনের পর তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। এ সময় হতেই তিনি ইসলামের একনিষ্ঠ সেবকের ব্রত গ্রহণ করেন। বীরত্ব, সাহস ও রণচাতুর্য দ্বারা খালিদ ইসলামের ইতিহাসে অনেক সোনালি অধ্যায় সংযোজন করে গিয়েছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরের বছর খালিদ মহানবীর ইচ্ছাক্রমে তাবুক অভিযানের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এ যুদ্ধে তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মুসলিম বাহিনী অনিবার্য পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। তাবুক অভিযান শেষে বিজয়ীর বেশে খালিদ মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে মহানবী (সা.) তাকে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘সায়ফুল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহ তরবারি’ খেতাবে ভূষিত করেন। মক্কা বিজয়াভিযানে তিনি বিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে যে তেজ ও বিক্রম প্রদর্শন করেছিলেন, মুসলমানদের জন্য তা ছিল এক গৌরবের বিষয়। দুমাতুল জন্দলের খ্রিস্টান রাজার বিরুদ্ধেও তিনি অনুরূপ বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। নাজরানের হারিস গোত্রকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ও কৃতিত্ব বিশেষভাবে স্মরণীয়। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মুহূর্ত হতে তিনি মনপ্রাণ দিয়ে ইসলামের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ইসলামের নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তার কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে অনন্য ও অসাধারণ।

রিদ্দা যুদ্ধের সময় মহাবীর খালিদ প্রচণ্ড বিক্রম নিয়ে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হন। এ সময় তিনি বিদ্রোহী শক্তিগুলোকে প্রতিহত এবং ভণ্ড নবীদের আস্ফাালন চূর্ণ করে ইসলামকে স্বমহিমায় প্রোজ্জ্বল রাখতে জীবনপণ করেছিলেন।

শাকিলা জাহান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর