শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুণ্যময় রজনী শবেবরাত

মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন

পুণ্যময় রজনী শবেবরাত

শব ফারসি শব্দ। অর্থ রাত। বরাত আরবি ‘বারাআত’ শব্দ থেকে এসেছে। এর একাধিক অর্থ আছে। তবে প্রসিদ্ধ অর্থ হলো মুক্তি। তাই শবেবরাত অর্থ মুক্তির রজনী। হিজরি শাবান মাসের ১৫তম রজনীকে শবেবরাত বলে। এই পুণ্যময় রজনীর ফজিলত ও তাত্পর্য আল কোরআনে বর্ণিত না থাকলেও কয়েকটি আমলযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ ইবনে মাজাহতে এসেছে। হজরত আলী (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, যখন শাবানের ১৫তম রজনী আসে তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং দিনে রোজা রাখো। কারণ, আল্লাহতায়ালা সেদিন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আসমানে আসেন এবং বলতে থাকেন, কেউ আছে কি গুনা মাফ চাইবে? আমি তার গুনা মাফ করে দেব। কেউ আছে কি রিজিক চাইবে? আমি তাকে রিজিক দান করব। কেউ আছে কি অসুস্থ? আমি তাকে সুস্থ করে দেব। আল্লাহ এভাবে ডাকতে থাকেন ভোর পর্যন্ত। বায়হাকিতে এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একদিন রসুল (সা.) বললেন, আজকের রজনীতে (শবেবরাতে) কী কী হয় তোমরা কি জানো? আয়েশা (রা.) বললেন, আপনি বলুন এই রজনীতে কী কী হয়? রসুল (সা.) বললেন, আজকের রজনীতে আগামী এক বছরে পৃথিবীতে আগমনকারী আদমসন্তানদের নাম লেখা হয়। আগামী এক বছরে পৃথিবী থেকে কে কে বিদায় নেবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রজনীতে মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। মানুষের রিজিক আল্লাহর  কাছ থেকে বরাদ্দ হয়। শবেবরাতে আমরা বিভিন্ন নেক আমল করতে পারি। জিকির করতে পারি। কোরআন তিলাওয়াত করতে পারি। নফল নামাজ পড়তে পারি। সম্ভব হলে সালাতুস তাসবিহ পড়তে পারি। প্রিয় নবী (সা.) তাঁর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে এই নামাজ পড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।

লেখক :  খতিব, সমিতিবাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর