শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদ

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান তাৎপর্যের দাবিদার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিজেরা উদ্যোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে। বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৮ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। অপরিসীম ত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বদেশ। এ দেশকে পরিবেশগতভাবে সুরক্ষার দায়িত্বও আমাদের নিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ’৭৫-পরবর্তী শাসকরা দেশের প্রতি দায়বোধের অভাবে যা ইচ্ছা তাই করেছে। স্বাধীনতার পর সুন্দরবন সুরক্ষায় বিশ্বের এই বৃহত্তম বাদাবনের মধ্যে ঘাসিয়ার খাল খনন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ’৭৫-পরবর্তী শাসকরা গুরুত্বপূর্ণ এই চ্যানেলটি বন্ধ করে সেখানে চিংড়ি চাষের প্রকল্প গ্রহণ করে। ফলে জীববৈচিত্র্যের জন্য সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ এবং ডলফিনের আবাসস্থল সালনা নদীতে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। ঘাসিয়ার খালের সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় আড়াই শ ছোট খাল বন্ধ করে শুরু হয় চিংড়ি চাষ। চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একে একে প্রায় সব খালের মুখ আমরা খুলে দিয়েছি। ঘাসিয়ার খাল পুনঃখনন করে সেখান দিয়েই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তাতে জাহাজ চলাচলের সময়ও বেঁচে যাচ্ছে। তা না হলে জাহাজগুলোকে অতিরিক্ত ১৪-১৫ কিলোমিটার ঘুরে সালনা নদী দিয়ে আসতে হতো। এখন খুব সহজেই জাহাজগুলো মোংলা বন্দরে চলে আসতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী দুঃখ করে বলেছেন, ’৭৫-পরবর্তী শাসকদের কাছে চিংড়ি চাষ করে টাকা উপার্জনই বড় ছিল। তারা পরিবেশ বিনষ্ট ও জীববৈচিত্র্যের সমস্যার কথা ভাবেনি। তিনি পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণের যে তাগিদ দিয়েছেন তাও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। দেশের পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট মোকাবিলায় সবুজায়নের বিকল্প নেই। বায়ুদূষণ রোধেও এ ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। দেশের  অফিস-আদালত, সড়ক-পার্ক, খেলার মাঠ, নদী-খাল ও লেকের পাশে বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় যত্নবান হতে হবে। এটি আজ সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর