বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা

সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন

টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগর চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাতে যেন শুরু হয়েছে নূহ নবীর প্লাবন। দুর্বল ড্রেনেজব্যবস্থা দেশের দুই বৃহত্তম নগরীর অধিবাসীদের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনছে। টানা ও মাঝারি বৃষ্টি হলেও জলজট আর যানজটে নগরজীবন নাকাল হয়ে পড়ে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়র পদপ্রার্থীরা জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর তিন বছর কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতির কিছুই পূরণ হয়নি। ভারি তো বটেই, মাঝারি বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তা ডুবে যায়। কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। রাস্তায় নামা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। গণপরিবহনের স্বল্পতা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে। জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন আটকে থাকে। গত মঙ্গল ও বুধবারের বৃষ্টিপাতে মালিবাগ, শান্তিনগর, ইস্কাটন, আরামবাগ, মতিঝিল, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কালশী মোড়, বাড্ডা, নাখালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে এলাকাবাসী। পূর্ব রামপুরার কিছু গলিতে হাঁটুপানি হয় সামান্য বৃষ্টিতেই। চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেই নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা অদৃষ্টের লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির সময় জোয়ারের পানি এলাকাবাসীর জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি জমেছে বেশকিছু সড়ক, উপসড়ক, বাই লেনে। বৃহত্তর বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট থেকে মুরাদপুর, বাদুড়তলা, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন ব্লক, চকবাজার, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, বৃহত্তর হালিশহরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। টানা বৃষ্টি হলেই রাজধানী ও বন্দরনগর চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার অধিবাসীদের জন্য বিসংবাদ সৃষ্টি হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দায়দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করবেন— তা মেনে নেওয়া যায় না। জনদুর্ভোগের অবসানে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর