শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন

অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগান

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদস্যভুক্ত ৭টি দেশের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ‘শান্ত্মিপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী ও টেকসই বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সন্ধানে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতির ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার তাগিদ দেন। বলেন, এ অঞ্চলে আন্তবাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে। সদস্য দেশগুলোর উচিত ‘এখনো কাজে না লাগানো’ এই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। ২০১৬ সালে ভারতের গোয়ায় বিশেষ বিমসটেক রিট্রিটে নেওয়া ১৬টি এজেন্ডার মধ্যে কয়েকটি বাস্তবায়িত হলেও কয়েকটি এখনো বাকি। যেগুলোর বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাস এ অঞ্চলের দেশগুলোর সাধারণ শত্রু, এসব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কয়েকটি বিমসটেক দেশ ইতোমধ্যে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগের মাধ্যমে পরস্পরের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। অন্যরাও এগিয়ে এলে তা বিমসটেক বিদ্যুৎ গ্রিডে রূপ নিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা, সন্ত্রাস দমন ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ আর সাফল্যের বিস্তারিত বিবরণও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। বলেন, উন্নয়ন নির্ভর করে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করে বৈষম্যহীন সুষম উন্নয়ননীতি নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ১৭৫ কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। সম্মেলনের অবসরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে আলাদা বৈঠকেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করলে বিশ্ব পরিসরে অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার কৃতিত্ব দেখাবে। পশ্চাৎপদতা ও দরিদ্রতাকে পিছু হটিয়ে উন্নয়নের সোপানে নিজেদের নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর