মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গভীর সংকটে দেশ!

মনজুরুল আহসান বুলবুল

গভীর সংকটে দেশ!

সরকারি দলের এক নেতা বলছেন, আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় না এলে দেশে ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হবে। আরেক নেতার মন্তব্য : দেশে সাম্প্রদায়িক জোট হচ্ছে। এক সিনিয়র মন্ত্রী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বসে আছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, এ রকম তারিখ ঘোষণার এখতিয়ার তার নেই। ইভিএম নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অতি আগ্রহ আর তারই এক সহকর্মীর সভা থেকে ওয়াকআউট করে ভিন্নমত ঘোষণাকে কেউ কেউ ‘গণতন্ত্রের বিউটি’ বললেও এ সবই যে নানা সংকটের উপসর্গ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। সরকারবিরোধী দল বা জোটের নেতারা তো হরদমই বলছেন, এখন সরকার সমর্থক জোটের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ আকারে ইঙ্গিতে বলছেন; দেশ গভীর সংকটে, একমাত্র ত্রাণকর্তা হতে পারেন তিনিই ।

এসব বক্তৃতা-বিবৃতি শুনে সাধারণ মানুষের ‘মাথায় কত প্রশ্ন আসে’ কিন্তু  ‘দিচ্ছে না কেউ জবাব তার’।  তবে নানা জাতের সংকটে যে পতিত নানা দল বা জোট বা ব্যক্তি এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।

নির্বাচন কমিশনের সংকট সৃষ্টি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই। কিছু কথায়, কিছুটা কাজে। স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই যখন বলেন, সর্বাত্মক ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয় তখন এই সরল স্বীকারোক্তি সংকট সৃষ্টি করে। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে তাহলে ভালো নির্বাচনের বোধ করি কোনো সম্ভাবনাই নেই! ইভিএম নিয়ে তার অতি আগ্রহ এবং তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব প্রশ্ন জাগায় অনেকের মনে। আর এই কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোয় সংঘটিত অপকর্মগুলোর বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এক ধরনের আস্থার সংকটে তো আছেই নির্বাচন কমিশন।

সরকার ও সরকারি জোটের সংকট নানা মাত্রায়। বর্তমান সরকার টানা ১০ বছর ক্ষমতায়। সরকারি জোটের টানা দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়নের অনেক সূচক শুধু দৃশ্যমান নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। এই সূচকে জোট বা সরকারের চালকের আসনে যিনি তার গ্রহণযোগ্যতা সবাইকে ছাড়িয়ে, তার পরও সরকারি জোটের সংকট আত্মবিশ্বাসের। নির্ধারিত সময়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন করা যেমন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা। এত দৃশ্যমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ছবি থাকার পরও নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে কেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এটি সম্ভবত সরকারি জোটের জন্য বড় সংকট। জোটসঙ্গীদের মধ্যে আসন বণ্টন আর নিজ দলের অসংখ্য মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ন্ত্রণ করে ‘বিদ্রোহীমুক্ত’ প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করাও একটি সংকট। সরকারি জোটের, বিশেষত আওয়ামী লীগের সামনে সংকটটি অঙ্কের হিসাবেই দৃশ্যমান। নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে যখন বিএনপি ও জামায়াত একাট্টা হয়ে দাঁড়ায় তখন নৌকা মার্কার সংকট হয় তীব্র। এবারের নির্বাচনে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর জোট দৃশ্যতই নৌকাবিরোধী জোট গড়ে তুলতেই মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা যদি ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর জোটে ভেড়েন তাহলে তারা জয়ী না হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করার মতো সংকট তৈরি করবে। কাজেই জোটের মধ্যে আওয়ামী রক্ত সঞ্চালনে প্রাণ পাওয়া মাইস্ক্রোপিক জোটভুক্ত দল বা জোট বাড়াতে নতুন দলের আবদার মেটাতে গিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয় কিনা তাও সরকারি জোটের জন্য বড় পরীক্ষা হবে সন্দেহ নেই।

ক্ষমতায় আসতে চাওয়া বিএনপির তো সংকটের অন্ত নেই। এ দলটির নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন সে-ই তো একটি বড় সংকট। যারা দৃশ্যমানভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের প্রতিও দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থার সংকট তীব্র। সম্প্রতি দলের এক কর্মসূচিতে দলটির শীর্ষ নেতাদের কাছে তৃণমূল কর্মীরা জানতে চেয়েছেন : আন্দোলনের নামে কর্মীদের মাঠে নামিয়ে ‘চিকিৎসার নামে’ নেতারা বাইরে চলে যাবেন না তো? বিএনপির সবচেয়ে বড় সংকট কারাবন্দী নেত্রী বা  লন্ডনি নেতাকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন কিনা? নির্বাচনে না গেলে দল যে মহাসংকটে পড়বে তা থেকে উত্তরণের জন্য কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা। জামায়াত তো বিএনপির স্থায়ী সংকট। এই জোটে কে যে কখন কার ঘাড়ে চড়ে বলা মুশকিল। জোটের আকার বাড়ালে বা নৌকা ঠেকানো জোটের সঙ্গে সমন্বয় করলে আসন বণ্টন হবে বিএনপির সবচেয়ে বড় সংকট। এ সংকট দৃশ্যমান হবে যখন ১০ বছর ধরে জেল-জুলুম খাটাদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ধানের শীষে মনোনয়ন দেওয়া হবে তখন। ধরা যাক, এত সব সমস্যা পায়ে দলে বিএনপি ও জামায়াত জোট নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল; তখন এতিমদের টাকা মারার দ-, যুদ্ধাপরাধে দ-, দুর্নীতিগ্রস্তদের নেতা বানাতে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়গুলো নিয়ে নৌকার মাঝিরা প্রায় ডুবুডুবু ধানের শীষের ওপর দিয়ে যে গতিতে নৌকা চালাবেন সেই সংকট সামলাতে বিএনপি জোটের কৌশল নিয়ে কৌতূহল তো আছেই। ড. কামাল আর বি. চৌধুরীর জোট বিএনপির জামায়াতি গোদের ওপর নতুন বিষফোঁড়া হয়ে বসার চেষ্টা করছে। এই জোটের অন্যতম রূপকার, অতি আশাবাদী মাহমুদুর রহমান মান্না তো স্পষ্টতই বলেছেন, তাদের দুই বছর সরকার চালাতে দিতে হবে। বিএনপি যদি মান্না সাহেবদের সঙ্গে এ ধরনের ফরমুলায় যায় তা যে দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব নিয়েই টান দেবে তা রাজনীতির সাধারণ জ্ঞান যারা রাখেন তারাও বুঝতে পারেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্যতম শরিক অলি আহমদ সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রায় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর যে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর জোট তারা তো এখনো আস্থার সংকটের মধ্যেই আছেন। এই জোটে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা সবাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অতিপরিচিত মুখ। তাদের সবার রাজনৈতিক অতীত একেবারে স্বচ্ছ বা প্রশ্নহীন এ কথা বলা মুশকিল। এর মধ্যে আ স ম আবদুর রব তার নিজের আসনটি এবং বি. চৌধুরী তার নিজের বা পুত্রের আসনটির ব্যাপারে কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারেন। কিন্তু বাকিরা? ড. কামাল তো গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিজে একটি পৃথক দল গড়ে তুলেও একটি নিজস্ব আসনও তৈরি করতে পারেননি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হলে কাদের সিদ্দিকীও নিজের আসন ছাড়া আর কোনো আসন যোগ করতে পারবেন এমন অঙ্ক নিশ্চিত নয়। তবে কাদের সিদ্দিকী নিজেই তার সংকট স্বীকার করে বলেছেন তিনি পড়েছেন ‘মাইনকার চিপার মধ্যে’, তিনি এর মধ্যে এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এই সরকারের পদত্যাগ চান না, চান সুষ্ঠু নির্বাচন তা হলেই তিনি নির্বাচনে যাবেন। কাদের সিদ্দিকীর এ অবস্থান ড. কামাল-বি. চৌধুরীর মধ্যে নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি করল কিনা তা দেখতে হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে  ইতিমধ্যে এই জোটের মধ্যে ড. কামাল আর মান্না দ্বন্দ্ব তো প্রকাশ্য সংকট হয়েই আছে। বি. চৌধুরীপুত্র মাহী বি. চৌধুরী সক্রিয় হলে এ সংকট যে ত্রিমুখী হবে তা বলাই বাহুল্য। জামায়াতকে না ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে এদের সম্পর্কের চিত্র ভবিতব্যই বলতে পারে। আর ব্যাপকভাবে নৌকা বা ধানের শীষ জোটের উচ্ছিষ্টরা দলে দলে যোগ দিলে তা আখেরে ড. কামাল, বি. চৌধুরী আর নেপথ্য থেকে ছক কষা কুশীলবদের জন্য যে নতুন সংকট তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য ।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুবর্ণে বর্ণিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে তার শরিকরা যেমন সংকটে থাকেন তেমন এরশাদ সাহেবও সংকটে নিজের দল নিয়েই। তার দলের লাগাম যে কখন কার হাতে, কোন ঘোড়া যে কখন কোন দিকে ছোটে তা কেউ জানে না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হলেন, তার নিজের ভাষাতেই ‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ নেপথ্য নেতা হলেন কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের সময় সেই যে পদবি নিয়েছিলেন সেই সিএমএলএ [ক্যান্সেল মাই লাস্ট অর্ডার] থেকে বুঝি তার আর পদোন্নতি হলো না। তাকে নিয়ে জাতির সংকট,  কখন যে তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেন, কী কাজ করেন দেশের মানুষ ধারণাও করতে পারে না। বয়স যে তার জন্য সংকট; এই চিত্র তুলে ধরে তিনি নিজেই বলেছেন তিনি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চান এবং আবার ক্ষমতায় যেতে চান। তবে পুরো বর্ণনা না করে ‘উইল ফোর্স’ নিয়ে সেই প্রচলিত গল্প অনুসরণ করে বলি : জনাব এরশাদের ‘উইল’ [ইচ্ছা] প্রবল সন্দেহ নেই কিন্তু তার ‘ফোর্স’ [শক্তি] নিয়ে সন্দেহ তো আছেই।

তবে বড় সংকটে আছেন বুঝি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। তার নিজের দলের গতিবিধি মুখস্থ তার, নিজ দলের সমস্যা এবং তা সমাধানের বিষয়টি হাতের তালুর মতোই পরিষ্কার। কিন্তু তাকে যে একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি, ইনু-জাসদ বা রাশেদ খান মেননের পার্টিও চালাতে হয় এ বুঝি তার ওপর বাড়তি বোঝা। সংকটের চেহারাটা দেখুন : জাসদের সর্বশেষ ভাঙনের পরও দুই পক্ষই বলেছে; আমরা জোট নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই মানব। ভাঙল জাসদ আর সমাধান দিতে হবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে! গৃহপালিত জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে থাকবে না, মন্ত্রীরা সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন; এরশাদের কত হুঙ্কার! যেই তাকে বলা হলো, আপনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদটি ছাড়ছেন না কেন? আকর্ণবিস্তৃত বিগলিত হাসি দিয়ে এরশাদের জবাব : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে তো আর পদটি ছাড়তে পারি না!! আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে নিজ দলের বাইরে অনেক দলের নীতিনির্ধারকের দায়িত্বও পালন করতে হয়। বিএনপিপন্থি এক সিনিয়র সাংবাদিক একবার হতাশার সুরে বলেছিলেন, বিএনপির বড় সংকট যে বিএনপির একজন শেখ হাসিনা নেই! জবাবে বলেছিলাম শেখ হাসিনার জন্য সেটিই বুঝি বাকি আছে!!

দেশজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া লাগছে নাকে-মুখে। সেজন্য নির্বাচনী রাজনীতি এবং সে-সংক্রান্ত সংকট নিয়েই এই রচনা। মজার বিষয়; রাজনৈতিক চরিত্রগুলো গম্ভীরভাবে সংকটের কথা বলেন কিন্তু নিজেদের সংকট বা নিজেরা কী সংকট তৈরি করছেন সেখান থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখেন।

নির্বাচন নিয়ে কথা এলেই প্রথম সরল সমীকরণ : একদল নৌকা মার্কায় ভোট দেবে শর্তহীনভাবে, আরেক দল একইভাবে সিল দেবে ধানের শীষে। এ দুই পক্ষ প্রায় কাছাকাছি। কিন্তু সংকট হচ্ছে সেসব ভোটারের; যারা অন্ধভাবে সিল মারার পক্ষে নন। মাঠ পর্যায়ে এ ধরনের একটি বড় অংশ দৃশ্যমান উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধ, দেশের এগিয়ে চলার পথেই থাকতে চান। কিন্তু তাদের সামনে সংকট হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতার দাপটে উম্ম ত্ত অসুরদের চেহারাগুলো। প্রশ্ন আসে- আবার জিতে এরা কি দানব হবে? ভোটারদের সামনে সংকট প্রশ্নবিদ্ধ অতীত রাজনীতির নায়ক-কুশীলবরা তো শুধু ক্ষমতাই চাচ্ছেন। তাদের সামনে দেশ, মানুষ, দেশের অগ্রযাত্রা এসব কেবল নানা কথামালার ফুলঝুরি। তাদের অতীত  চক্রান্ত, প্রতিহিংসার কারণে কুৎসিত, সেই অন্ধকারকেই কি আবার মেনে নিতে হবে? তবে একটা কথা ঠিক, সংকটের নানা চেহারা মূল্যায়ন করে দেশের সাধারণ ভোটার এবং সাধারণ মানুষ একটি কথাই নিশ্চিত হতে চায়; নির্বাচনের পরদিন ফলাফল দেখে তাদের যেন এ কথা বলতে না হয় ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার/ওকি সূর্য নাকি স্বপনের চিতা; ওকি পাখির কূজন নাকি হাহাকার!!’

প্রকৃত রাজনীতিকে পরাস্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপরাজনীতির কুচক্রীরা যেমন মাঠে নামে; তেমনি রাজনীতি মানেই খারাপ এমন উপস্থাপনা নিয়ে সক্রিয় হয় অরাজনীতির কুশীলবরাও। নিকট অতীতও সেই সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যত সমালোচনাই করি; চূড়ান্ত বিচারে মানুষকে সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র ত্রাতা রাজনীতি ও রাজনীতিবিদরাই। সংকট যত গভীর হোক; রাতের চেয়েও অন্ধকার, এমন সকাল আনার চক্রান্তকে প্রতিহত করতে প্রকৃত রাজনীতির সঙ্গেই থাকবে দেশের সচেতন মানুষ।

                লেখক : সাংবাদিক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর