বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

উদ্ভাবনায় এগোতে হবে

গড়ে তুলতে হবে নাগরিক সচেতনতা

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশগুলোর একটি। দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেলেও আলোর নিচে বিরাজ করছে নিকষ কালো অন্ধকার। নানা দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতার ওপর আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৮ যে তালিকা তৈরি করেছে তাতে বাংলাদেশের অবস্থান সবার পেছনে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে- শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল এবং কাজাখস্তান। আর এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী শক্তির দেশ সিঙ্গাপুর। উদ্ভাবনী ক্ষমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা দুর্ভাগ্যজনক। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু উদ্ভাবকরা জানেন না তাদের ধারণা নিয়ে কোথায় যেতে হবে, তারা যেটা তৈরি করতে চান তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কোথা থেকে আসবে। এ ধরনের প্রকল্পের জন্য সরকারের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ উদ্ভাবনী শক্তির দিকে মোটেও পিছিয়ে পড়া দেশ নয়। উন্নত দেশগুলোর জনঘনত্ব ও বিনিয়োগ বিবেচনা করলে বাংলাদেশের মানুষের উদ্ভাবনী শক্তির বিষয়ে সংশয়ের সুযোগ নেই বললেই চলে। উদ্ভাবকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মেধার পরিচর্যার অভাব। পাশাপাশি, নানা ধরনের ভৌত সমস্যাও উদ্ভাবকদের এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করছে। কোনো জাতির উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পরও জাপান অতিদ্রুত বিশ্ব অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় দেশে পরিণত হয়েছে উদ্ভাবনী ক্ষমতার গুণে। জার্মানির ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরের অভাবনীয় অগ্রগতির পেছনে উদ্ভাবনী ক্ষমতা জাদু হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে যেতে হলে এ ক্ষেত্রে পারিদর্শিতা দেখাতে হবে। দেশপ্রেমকে মূলধন হিসেবে বেছে নিতে হবে। দেশীয় পণ্য ব্যবহারের মানসিকতাও অর্জন করা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষক মনোভাবের বিকল্প নেই। প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর