রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জঙ্গি হামলার হুমকি

সতর্কতার বিকল্প নেই

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলেও এখনো এদেশে এই ভয়াবহ দৈত্যের হামলার ঝুঁকি রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশের জন্য অনুকরণীয় হলেও তাতে যে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই সে বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট করা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জঙ্গি ঝুঁকির ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বৈশ্বিক ওই প্রতিবেদনে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংঘটিত বিভিন্ন হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিরা দায়ী বলে দেশটির সরকার দাবি করলেও ‘আল-কায়েদা’ এবং আইএস অন্তত ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের তিনটি জঙ্গি হামলার বিবরণ দেওয়া হয়। এগুলো হলো ঢাকায় র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চেষ্টা, যাতে হামলাকারী নিহত হয়। ঢাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা এবং সিলেটের আতিয়া মহলের দুটি বোমার বিস্ফোরণ, যাকে আইএসের ঘাঁটি বলে প্রতিবেদনে উল্লে­খ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এতে বিদেশি জঙ্গিদের বিচারে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আইন না থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সে কারণে প্রচলিত অন্য আইনে এ ধরনের অপরাধে বিচার করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে কড়া নজরদারির প্রশংসা করা হলেও শাহজালালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর প্রতি বছর এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নীতি প্রণয়নের স্বার্থে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা এবং নিরাপত্তা উদ্বেগ সম্পর্কে প্রতিবেদনে যেসব কথা বলা হয়েছে তা সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর