রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

যৌতুক নিরোধ আইন

মিথ্যা মামলায় শাস্তির বিধান প্রশংসাযোগ্য

যৌতুক নিরোধ বিল ২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে সর্বসম্মতভাবে। নতুন এই আইনে যৌতুকের বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকারাবদ্ধ মনোভাবের প্রতিফলন ঘটলেও নানা বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় আইনটি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে শুরুতেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উত্থাপিত বিলটি পাস করার আগে আইন কমিশন বিলের বিভিন্ন অস্পষ্টতা ও ত্র“টি তুলে ধরে যে সাত দফা সুপারিশ করেছিল আইন পাসের ক্ষেত্রে তা আমলে নেওয়া হয়নি। স্মর্তব্য, স্থায়ী কমিটির গত ১৯ আগস্টের বৈঠকে আইন কমিশনের পক্ষ থেকে সাত দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। ওই বৈঠকের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর বিলটির ওপর একটি প্রতিবেদনও পাঠিয়েছিল আইন কমিশন। নতুন আইনে ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ অধ্যাদেশ হালনাগাদ করে যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় কারাদ- ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। যা একটি ভালো দিক। কারণ প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে যৌতুকের অভিযোগ আনা একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রোধে মিথ্যা মামলার জন্য দ- ও জরিমানার বিধান একটি প্রশংসনীয় দিক। আইন কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছিল, যৌতুক নিরোধ আইন একটি বিশেষ আইন হলেও বিলে এই আইনকে প্রাধান্য দেওয়ার কোনো বিধান রাখা হয়নি। ফলে ভবিষ্যতে আইনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কে প্রতিকার প্রার্থনা বা মামলা করতে পারবে তা সুস্পষ্ট করারও সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এসব সুপারিশের বাস্তবায়ন ঘটেনি। আইন কতটা কল্যাণকর হবে তা বাস্তবায়নের ওপর নির্ভরশীল। আইনের অপব্যবহার আইনের প্রতি মানুষের আস্থার ব্যত্যয় ঘটায়। যৌতুক আইনের অপব্যবহার অর্থাৎ মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা জনমনে যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করছিল নতুন আইনে অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করবে। আমরা আশা করব যৌতুকের মতো একটি জঘন্য অপরাধকে সমাজ থেকে দূর করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর