শিরোনাম
বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তন যেসব দেশের উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। অনাকাক্সিক্ষত এ পরিবর্তন ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়াচ্ছে। এর ফলে মেরুদেশের বরফ গলে বাড়ছে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার হুমকি যেমন বেড়েই চলেছে তেমন খরাও অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদনেও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করে বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয়। এর ফলে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা মিঠা পানিতে জমা হচ্ছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাবে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হয় সেখানে মানুষ পুষ্টিহীনতায়ও বেশি ভোগে। খরার মতো দুর্যোগকেই আগে শুধু শস্য ধ্বংসের দুর্যোগ মনে করা হতো। কিন্তু অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টিকে কখনই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার আঘাতে বাংলাদেশে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ধান উৎপাদন কম হলে প্রায়ই চালের দাম বেড়ে যায়। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে চাল, গম ইত্যাদি শস্য উৎপাদনের হার কমে গেছে। জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এটি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ যে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে তার প্রতিচিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। এ পরিস্থিতির মোকাবিলায় কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করা যায় সে বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের টেকসই কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বনায়ন গড়ে তোলার পাশাপাশি সমুদ্রের লোনা পানির আগ্রাসন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর