বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

ওমর (রা.)-এর কৃতিত্ব

হজরত ওমর (রা.) ছিলেন সেসব অসাধারণ ব্যক্তির অন্যতম, যাঁরা কেবল জাতির ভবিষ্যৎই গড়ে তোলেননি, জাতির নিজস্ব ইতিহাসও সৃষ্টি করেছেন। হজরত ওমর (রা.)-এর ১০ বছরের শাসনকাল ইসলামের ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়। বিজেতা, শাসক, সংস্কারক, রাজনীতিক ও সংগঠক হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব ছিল অসাধারণ। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবে ইসলামী সাধারণ-তন্ত্রের সূচনা করেছিলেন, আবু বকর (রা.) একে স্বধর্মত্যাগীদের কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং হজরত ওমর (রা.) একে সুসংহত, শক্তিশালী ও একটি বৃহত্তম সাম্রাজ্যে পরিণত করেছিলেন। স্বীয় শাসনামলে তিনি প্রবল শক্তিধর পারসিক ও রোম শক্তিদ্বয়কে বিধ্বস্ত করেছিলেন। তাঁর খিলাফতকালেই মুসলিম সাম্রাজ্যের সীমা পারস্য, সিরিয়া ও মিসর পর্যন্ত প্রসারিত হয়। তাঁর সম্পর্কে মাওলানা মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘হজরত ওমর (রা.)-এর গৌরবোজ্জ্বল কৃ-তিত্বের মধ্যে সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় ছিল ইসলামের মহাবিজয়গুলো।’ হিট্টিও মন্তব্য করেছেন, ‘আবু বকরের সময়কার বিশ্ববিজয়ের উদ্দীপ্ত প্রেরণা ওমরের সময় পরিপূর্ণতা লাভ করে।... শূন্য থেকে শুরু করে আরবীয় মুসলিম খিলাফত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তিতে পরিণত হয়।’ ইতিহাসবিদ মুর বলেন, ‘মহানবীর পর হজরত ওমর ছিলেন ইসলামী সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। মাত্র ১০ বছরের মধ্যে তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার গুণে এশিয়ার পারস্য ও সিরিয়া, ইউরোপের রোম বা বাইজানটাইন, আফ্রিকার মিসর ইসলামের পতাকাতলে এসে পড়ে।’

হজরত ওমর (রা.)-এর বিজয়কীর্তির পশ্চাতে ছিল তাঁর অসাধারণ সামরিক দক্ষতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতা। তিনি অপূর্ব কৌশলে অশান্ত, দুর্দান্ত ও উচ্ছৃঙ্খল বেদুঈনদের যুদ্ধস্পৃহাকে ইসলামের বৃহত্তম স্বার্থে নিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। হজরত ওমর (রা.) একটি সুসংঘবদ্ধ সামরিক ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে একটি সামরিক জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সৈনিকদের আভিজাত্য সংরক্ষণে ও মানোন্নয়নে তিনি বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

শাকিলা জাহান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর