বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার

কেউ যেন ছাড় না পায়

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। নির্বাচনের আগে পেশাদার সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শুধু অবৈধ অস্ত্র নয়, নির্বাচনে যাতে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার না হয় সেদিকেও তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা হবে। এ উদ্দেশ্যে বৈধ অস্ত্রের হালনাগাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা চাওয়ামাত্রই তারা মাঠে নামবে। এদিকে এরই মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাবের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে করণীয় ঠিক করেছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযানের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। স্মর্তব্য, বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের কেউ কেউ নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পেশাদার সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের বিপক্ষে ব্যবহার হয় অস্ত্র-বিস্ফোরক। নির্বাচনের সময় ব্যাপকহারে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের হাতবদল হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও পেশাদার সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বাড়ার খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। বিশেষ ধরনের কোড ও সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে হাতবদল হচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। সম্প্রতি রাজধানীতে কয়েকটি গুলির ঘটনা অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিয়েছে। নির্বাচনে যাতে কোনোভাবে অবৈধ অস্ত্রের দৌরাত্ম্য অনুভূত না হয় তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের ওপর নজর রাখছে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ যাতে সীমান্ত ডিঙিয়ে দেশে না আসতে পারে সে ব্যাপারে নজরদারি তীক্ষ করা হয়েছে। নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা বিশেষত প্রতিপক্ষের ওপর হামলা বা ভয়ভীতি প্রদর্শন, বুথ দখলের অপচেষ্টা ইত্যাদি রোধে পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। এক মাস ধরে র‌্যাবের উদ্যোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেলেই দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। আমরা আশা করব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকেই ছাড় দেবে না। অপরাধী চক্র দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর