শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্কুলে ভর্তির মৌসুম

অভিভাবকদের র‌্যাটরেস বন্ধ হোক

প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তির জন্য অভিভাবকরা তুমুল লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কাক্সিক্ষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে রাজধানীজুড়ে। বিভাগীয় সদরসহ মেট্রোপলিটন সিটিগুলোয় চলছে একই ধরনের লড়াই। প্রতি বছরই ভর্তির মৌসুম আসার আগেই প্রস্তুতি শুরু হয় উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের। শুরু হয় স্কুল থেকে স্কুলে ছোটাছুটি। ভালো স্কুল সন্ধানের পাশাপাশি ভর্তির জন্য সন্তানকে প্রস্তুত করার কঠিন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তারা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য এ বছর ১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি লটারির ড্র হবে ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি স্কুলগুলো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া শুরু করেছে । তবে সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বরের আগে নেওয়ার কথা থাকলেও সামনেই যেহেতু সাধারণ নির্বাচন সেহেতু এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। ভালো স্কুলে সন্তানের ভর্তি নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনেকেই ব্যস্ত থাকছেন শুধু এ বিষয়টি নিয়ে। দিনে সন্তানকে নিয়ে কোচিংয়ে ছোটাছুটি এবং রাতে বাসায় পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত। এখন শিশুদের মায়েরাই মূলত এ দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়তি চাপে পিষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। অভিভাবকদের উৎকট প্রতিযোগিতার সুযোগে শিক্ষাবাণিজ্যও বেড়ে যাচ্ছে। স্বভাবতই শিক্ষাব্যয় বহনে পিছিয়ে পড়ছে মধ্য-নিম্ন আয়ের অভিভাবকরা। বলা যায়, রাজধানীসহ মেট্রোপলিটন সিটিগুলোয় শুধু নয়, জেলা শহরগুলোতেও শিক্ষা নিয়ে চলছে সীমাহীন বাণিজ্য। এ বাণিজ্যে ধনীরা এগিয়ে থাকায় ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার লড়াইয়ে তাদের সন্তানরাই সুবিধা পাচ্ছে। ভর্তি নিয়ে প্রতি বছর অভিভাবকদের এই র‌্যাটরেস ও শিশুদের চাপে পিষ্ট হওয়ার ঐতিহ্যের অবসান হওয়া দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নত করে এ অবস্থার ইতি ঘটানো যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর