শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মেয়র আনিসুল হকের প্রকল্প

দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। এ দিনটিতে প্রয়াত মেয়রকে স্মরণ করা হয়েছে স্মরণসভা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এলাম এবং জয় করলাম ধাঁচের মানুষ ছিলেন আনিসুল হক। এই কর্মবীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। তাকে নির্বাচিত করে ‘কেউ কথা রাখেনি’ হতাশায় ভুগতে হয়নি নগরবাসীকে। ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। রাজধানীর যানজট কমাতে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা পর্যন্ত ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি ব্যবহার নিয়ে জটিলতায় বন্ধ হয়ে যায় এ প্রকল্প। ৪ হাজার নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনাও হোঁচট খেয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ল্যান্ডফিল্ড নির্মাণ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মতো স্বপ্নের প্রকল্পগুলো এখন অন্ধকারে। আনিসুল হক হাতিরঝিলের মতো আরও তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। রাজধানীর উত্তরায় জলনিসর্গ নামে একটি প্রকল্প করার কথা ছিল তার। এ ছাড়া কল্যাণপুরের পেছনের অংশ দিয়ে গাবতলীর পাশে এবং রামপুরা কাটাসুর খালকে কেন্দ্র করে প্রকল্পের অনুমোদন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। এর কিছু প্রকল্প অনুমোদন পেলেও বাস্তবায়নে দৃষ্টিগ্রাহ্য অগ্রগতি নেই। একটি নিরাপদ, আধুনিক ও নারীবান্ধব মহানগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৫ সালের ৬ মে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনিসুল হক। দায়িত্ব নিয়েই রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করেন তিনি। কিন্তু অকালমৃত্যু আনিসুল হকের গৃহীত সব প্রকল্পের গতি হয় স্থবির করেছে নতুবা থামিয়ে দিয়েছে। উত্তর ঢাকার প্রিয় মেয়র কায়েমি স্বার্থবাদীদের কব্জা থেকে নগরবাসীকে বের করে আনতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নেন। তাঁর অবর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন কায়েমি স্বার্থবাদীদের সঙ্গে আপস করার কারণে অথবা সাহসের অভাবে। মেয়র আনিসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাঁর নেওয়া নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে হবে। ঢাকাকে অচল নগরীর গ-ি থেকে বের করে এনে সচল করতে হবে।

সর্বশেষ খবর