মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পূর্বাচলের সড়ক ব্যবস্থাপনা

এখনই নজর দেওয়া দরকার

রাজধানীর পূর্বাচলকে দেশের সবচেয়ে পরিকল্পিত উপশহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা। এটি বাস্তবায়ন হলে শুধু পূর্বাচল নয়, ধারেকাছের বিশাল এলাকায়ও নগরায়ণের প্রভাব পড়বে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্ত-বায়নের আগেই সড়ক ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। শুধু পূর্বাচল নয়, ধারেকাছের সব এলাকার অধিবাসীর স্বার্থেই ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই ইউলুপ ব্যবহার করে যাতে মানুষ নিরাপদে যে যার গন্তব্যে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এ উদ্দেশ্যে ৩০০ ফুট সড়কে ইউলুপ তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে পূর্বাচলের নির্বিঘ্নে যোগাযোগ রক্ষায় ইউলুপগুলো কাজে লাগবে। বর্তমানে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বালু ব্রিজ, কাঞ্চন সেতু হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা পর্যন্ত হাজার হাজার যানবাহন চলছে। যানবাহনের চাপে প্রায়ই ৩০০ ফুট সড়কটির বিভিন্ন অংশে যানজট তৈরি হয়। ইউলুপ নির্মাণ হলে এ সড়কটির আশপাশের বাসিন্দা, যাদের প্রধান সড়ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই তারা শুধু সার্ভিস রোড ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে পারবেন। সার্ভিস রোড টু সার্ভিস রোড ইউলুপ তৈরি করা হলে মূল সড়কটিতে কোনো বাধা ছাড়াই যানবাহন চলতে পারবে। রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডায় ইউলুপ তৈরির ফলে অসহনীয় যানজট সহনীয় মাত্রায় এসেছে। পাশাপাশি রামপুরা থেকে প্রগতি সরণি সড়কটি অনেকটাই যানজটমুক্ত হয়েছে। এ সড়কে যাতায়াতে এখন সময় লাগছে আগের চেয়ে কম। পূর্বাচলে এ মুহূর্তে জনবসতি নেই বললেই চলে। তার পরও ৩০০ ফুট সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলছে। পূর্বাচলে উপশহর গড়ে উঠলে যানবাহনের ভিড় কয়েক গুণ বাড়বে। সে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আগেভাগে সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বিশেষ করে কোথায় কোথায় ইউলুপ নির্মাণ করা হলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে সেজন্য পূর্ণাঙ্গ

সমীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর