শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রপ্তানি খাতে সুবাতাস

অগ্রগতির ধারা বহাল থাকুক

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত পাঁচ মাসে ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৫৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী রপ্তানির বড় খাতগুলোর মধ্যে হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও পাটপণ্যের রপ্তানি কমে গেছে। তবে প্রধান পণ্য গার্মেন্টের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। ফলে সার্বিকভাবে রপ্তানি এই সময়ে বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশেরও কম। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে ৮০ শতাংশের বেশি অবদান গার্মেন্ট খাতের। ফলে এ খাতের রপ্তানি হ্রাস-বৃদ্ধি সার্বিক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন কারণে চীনে পোশাকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা বিকল্প খুঁজছেন। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে গার্মেন্ট খাতের কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচে পোশাক কেনার সুযোগ থাকায় ক্রেতারা বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোয় ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছে। আগামী মাসগুলোতেও রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত থাকবে এমনটিও আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১২ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি সরকারের জন্য স্বস্তিদায়ক সংবাদ। কারণ তারা আসন্ন নির্বাচনে উন্নয়ন ইস্যুকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। নির্বাচনী ডামাডোল সত্ত্বেও ডিসেম্বরে রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকবে এমনটিও আশা করছেন রপ্তানিকারকরা। তবে বিশ্বমন্দার প্রতিক্রিয়ায় হিমায়িত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য ও পাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া উদ্বেগজনক। এসব পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সরকারকে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর