শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

দালাইলামার শিক্ষাজীবন

প্রধান লামাদের অধীনে রাজধানী লাসায় ছয় বছর বয়সে বর্তমান দালাইলামার শিক্ষা শুরু হয়। ১৯৫৯ সালে তিনি বৌদ্ধ দর্শনের সর্বোচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ইতোমধ্যে ১৯৫০ সালে চীন তিব্বতের দখল নেয়। কিন্তু মার্চ ১৯৫৯ এ তিব্বতের জনগণ তাদের স্বায়ত্তশাসন পুনরায় আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামে এবং চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হাজারখানেক তিব্বতী জনগণ হতাহত হয়। দালাইলামাকে তার বাসস্থান পোতালা প্যালেস থেকে উৎখাত করা হয়। দালাইলামা তিব্বত থেকে ভারতে পাড়ি জমালে তাকে আশ্রয় দেয় ভারত সরকার।

সেই থেকে ভারতের ধর্মশালায় অবস্থান করছেন দালাইলামা। চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে সবসময়ই সমঝোতা আর অহিংসার কথা বলে আসছেন তিব্বতের এই নেতা। ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকা হাজার হাজার তিব্বতি লামা আর লক্ষাধিক অনুসারীদের শান্তভাবে চীন সরকারের এই অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহবান জানিয়ে আসছেন এই নেতা। নিজের জম্ম ভূমি থেকে নির্বাসিত হয়েও জীবনের শেষ দিনগুলোতে এই নেতা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন অহিংসার বাণী। আর এজন্য তাকে ১৯৮৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। হিমালয়ের কোলে বাস করা সাধারণ তিব্বতীদের আস্থা আর বিশ্বাস জুড়ে দালাইলামার অহিংসার বাণীগুলো হিমালয়ের মতোই অবিচল থাকুক- শান্তিকামী বিশ্ববাসী এ কামনাই করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর