রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিজয়ের মাসে আসছে আরেকটি বিজয়

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

বিজয়ের মাসে আসছে আরেকটি বিজয়

স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছরের মাথায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮। বাঙালি জাতির কাছে ডিসেম্বর মাসের বিশেষ ও বিশাল গুরুত্ব রয়েছে। একাত্তরের ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের বাঁধভাঙা জোয়ারে সেদিন পাকিস্তানের সঙ্গে ভেসে গিয়েছিল এ-দেশীয় জামায়াত, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আলবদরসহ একাত্তরের সব ঘাতক বাহিনী। তাই বছর ঘুরে ডিসেম্বর এলেই বাঙালির হৃদয়-মন ভরে ওঠে বিজয়ের মহা আনন্দে। সত্য, সুন্দর ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হওয়া অফুরন্ত প্রেরণায় পূর্ণ বিজয়ী মনের শক্তির কাছে বড় বড় সব চ্যালেঞ্জকেও খড়কুটো মনে হয়। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ পারেনি, তা প্রমাণিত হয়েছে একাত্তরের ডিসেম্বরে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর ওই পরাজিত শক্তির এ-দেশীয় নতুন-পুরান প্রতিভূরা আবার বাংলাদেশের বুকের ওপর পাহাড়সম পাথরের মতো চেপে বসে। সেই পাথর ঠেলে এই নতুন শত্রুকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার উপযুক্ত সময় এখন এই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পুনরায় উপস্থিত। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে যে শত্রুকে পরাজিত করেছিলেন, সেই শত্রুর প্রতিভূদের তরুণ প্রজম্মে র মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত করবে ভোটযুদ্ধের মাধ্যমে। এই বিজয়ের মাধ্যমে ধর্মাশ্রয়ী, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী রাজনীতির কবল থেকে বাংলাদেশ চিরদিনের জন্য মুক্ত হবে। মুক্ত হবে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থানের আশঙ্কা থেকে। ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ এ স্লোগান বাংলাদেশে আর কেউ দিতে পারবে না। পাকিস্তা -নিরা মাত্র ২৩ বছর বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু বাঙালি ছদ্মবেশ এবং জামায়াত-রাজাকারের সঙ্গে দু-চার জন পদস্খলিত মুক্তিযোদ্ধার মেলবন্ধনের কারণে এ-দেশীয় পাকিস্তানপন্থিরা ৪৭ বছর ধরে এখনো টিকে আছে। আমরা যারা একাত্তরের প্রজম্ম  তাদের মধ্যে একাত্তর আর ডিসেম্বর মাস নিয়ে অবশ্যই আবেগ আছে। ভোটের রাজনীতিতে আবেগের জায়গা খুবই সীমিত, এটা জেনেই আমি উপরোক্ত কথাগুলো বলছি।

পঁচাত্তরের পর গত ৪৩ বছরে তৈরি হওয়া প্রেক্ষাপট এবং চলমান বাস্তবতার দিকে নজর দিলেই আমার কথার যৌক্তিকতা বোঝা যাবে। আসন্ন নির্বাচনে মোটা দাগে দুটি পক্ষের ভিতর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এর প্রথম পক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট। এই পক্ষ গত ১০ বছর ধরে একটানা দেশ চালিয়েছে। এর আগে তারা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আরেকবার ক্ষমতায় ছিল। এই পক্ষের রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় নীতির মূল অবলম্বন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর ধরে সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। নির্বাচনী যুদ্ধে দ্বিতীয় পক্ষে রয়েছে মূলত জামায়াত-বিএনপি। এই জোট অতীতে দুই মেয়াদ, অর্থাৎ ১৯৯১-১৯৯৬ ও ২০০১-২০০৬ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। এই পক্ষের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির মূল অবলম্বন সাতচলি শের চেতনা। অর্থাৎ পাকিস্তানি মতাদর্শ, যার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই আমরা সংগ্রাম করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং ৩০ লাখ মানুষের জীবন বিসর্জন দিয়েছি। তাই স্পষ্টতই বোঝা যায় বিএনপির রাজনীতির মূল অবলম্বনই হলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সম্পূর্ণ বিরোধী। বিএনপি ভালো করেই জানে শেষ বিচারে তাদের আদর্শের রাজনীতি বাংলাদেশে টিকতে পারবে না। তরুণ প্রজম্ম  সঠিকভাবে বুঝতে পারলেই তাদের রজনীতির আয়ু বাংলাদেশে শেষ হয়ে যাবে। তাই আসল কথা বলতে সাহস পায় না। শুরু থেকেই একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে রেখেছে এবং বলে আসছে, বিএনপিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। এ ধূম্রজাল সৃষ্টিতে তারা ব্যবহার করে জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন মাত্র মুক্তিযোদ্ধাকে। জামায়াত, মুসলিম লীগ ও রাজাকারদের নতুন স্বরূপের সঙ্গে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছে বলেই ওই দলকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলতে হবে, নাকি তাদের কর্মের সঠিক মূল্যায়নই বলে দেবে তারা কোন পন্থার রাজনীতি করছে। মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং বাঙালি সংস্কৃতিপ্রসূত বাঙালি জাতীয়তাবাদকে বিএনপি অনুসরণ করে না। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও জাতির পিতাকে মানে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথে রচিত অফুরন্ত অনুপ্রেরণার গৌরবোজ্জ্বল সব ঘটনাকে বিএনপি মূল্যায়ন করে না, সম্মান দেখায় না, বরং সেগুলোকে বিকৃত ও আড়াল করে। তাহলে কী করে আমরা বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলি?

স্বাধীন বাংলাদেশে জম্ম  হওয়া একটা নতুন দল বিএনপি কেন এসবের বিরোধিতা করবে? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো বিএনপির কোনো ক্ষতি করেননি, বিরুদ্ধাচরণও করেননি। তাহলে জাতির পিতার সঙ্গে বিএনপির কেন শত্রুতা থাকবে। কেন বিএনপি জাতির পিতাকে আনুষ্ঠানিক সম্মান দেখাবে না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও জাতির পিতার সঙ্গে জামায়াত, মুসলিম লীগের সঙ্গত কারণেই শত্রুতা থাকতে পারে। তাহলে কি এই দাঁড়াল না যে, জামায়াত-মুসলিম লীগের এজেন্ডাই বিএনপি বাস্তবায়ন করছে! নামে বিএনপি, কাজ সব জামায়াতের। নামের দ্বারা, নাকি কর্মের মাধ্যমে পরিচয় নির্ণয় করা হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বড় নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতের মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধা আছে। এটা হঠাৎ মুখ থেকে বের হয়ে গেছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। নজরুল ইসলাম খান তার এ কথার কোনো সংশোধনী এ পর্যন্ত দেননি। মানুষ যখন অস্থির ও দিশাহারা হয়ে যায় তখন মনের আসল কথাটি বের হয়ে যায়। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে জামায়াতিরা হবে সব মুক্তিযোদ্ধা, আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হবে দুষ্কৃতকারী, যেটা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত-মুসলিম লীগওয়ালারা বলত। সুতরাং ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ বছরে জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির স্বরূপ ও তার পরিণতি বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। বিএনপি বলছে তারা গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। সেটি কোন গণতন্ত্র এবং তার স্বরূপ কেমন হবে তা কিন্তু বিএনপি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপির সম্মিলিত যে স্বরূপ দেখা গেছে তা বজায় থাকলে বাংলাদেশ এতদিনে আরেকটি পাকিস্তান, আর নয় তো নির্ঘাত আফগানিস্তান হয়ে যেত। এত বড় সর্বনাশা পাকিস্তানি মতাদর্শ কোনোক্রমেই রাষ্ট্রের উন্নতি, অগ্রগতি, কর্মসংস্থান, শান্তি, সম্প্রীতি ও মর্যাদার সঙ্গে সহায়ক তো নয়ই বরং বিপরীত, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় মৌলিকভাবে দুই বিপরীতে আদর্শের দুই পক্ষের সরকারের পারফরম্যান্সের একটা তুলনামূলক চার্ট তৈরি করলেই আমার উপরোক্ত কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। কোনো পক্ষের থেকে শতভাগ সফলতা ও শুদ্ধতা প্রত্যাশা করা অবাস্তব কথা। তাই তুলনামূলক চিত্রটিই ভোট প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে মানুষ ব্যবহার করবে, সেটাই স্বাভাবিক। খাদ্য উৎপাদন, কৃষি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার যে স্থানে নিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে ২০০১-২০০৬ মেয়াদের জামায়াত-বিএনপি সরকারের সময় প্রতিটি খাতেরই অবনতি ঘটে। ২০০৭-২০০৮ দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আরও অবনতি ঘটে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছর খাদ্য, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ আর্থ-সামাজিক সব খাতের চার থেকে ছয় গুণ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, একটি খাতও নিম্নগামী হয়নি। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা যেমন সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান এবং সীমানা চিহ্নিতকরণ, এগুলো বিশাল ও ব্যতিক্রমী ধরনের অর্জন। অন্য কোনো সরকারের এ রকম বড় অর্জন একটিও নেই। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভূতপূর্ব পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করতে সক্ষম হয়। এর জন্য জাতিসংঘের ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং রাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শ ও পারফরম্যান্সের জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী জোটের ধারেকাছেও নেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি জামায়াত-বিএনপি জোট। তাই বিপরীত পক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্তহীন অযৌক্তিক একতরফা অভিযোগ তোলা ছাড়া নিজেদের অর্জনের কোনো হিসাব তারা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারছে না। তাই নিজেদের হাল আর পালে জোর পাচ্ছে না বিধায় শরণাপন্ন হয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়া ড. কামাল হোসেনসহ পরিচিত কিছু রাজনৈতিক নেতার, যাদের না আছে ভোট, না আছে সাংগঠনিক শক্তি। কথিত বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের জোটবদ্ধতার যে চিত্র তার দিকে তাকালে এর করুণ অবস্থাটি বোঝা যায়। এটা জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোট প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো আগামী পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী হয়ে কে দেশের নেতৃত্ব দেবেন। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় দেশের যে কোনো সমস্যা ও সংকটের শেষ ভরসাস্থল হয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিবেচনাটি শুধু যে বাংলাদেশে দেখা যায় তা নয়। সারা গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই জাতীয় নির্বাচনের মূল আলোচনার বিষয়। ক্যাপ্টেন ছাড়া জাহাজ বিপজ্জনক তা সবাই জানে। এই ক্যাপ্টেনহীন জাহাজের অবস্থায় পড়েছে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট। তারা বলতে পারছে না তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে। বিএনপি ক্ষমতায় যাক আর বিরোধী দলে থাকুক নির্বাচনের পর ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কোনো মূল্য থাকবে না, তারা কিছুই করতে পারবেন না। কারণ সংসদ সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় সব নিয়ন্ত্রণ তখন থাকবে বিএনপির হাতে। আর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়াবে জামায়াত। ঐক্যফ্রন্ট থেকে কেউ দু-এক জন সদস্য নির্বাচিত হলে তাদেরও মাথা নিচু করে থাকতে হবে। কারণ, তারা ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন। একটু নড়ন-চড়ন করলেই বহিষ্কার হবেন এবং সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। সুতরাং বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ওপর রাখতে হলে এবং বলিষ্ঠ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের হাতে দেশকে রাখতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরীক্ষিত শক্তি আওয়ামী লীগ এবং তার নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষের সামনে নেই। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির অসারতা মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট হবে। তখন স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ওই পাকিস্তানপন্থি রাজনীতি বাংলাদেশে আর টিকতে পারবে না। তখন নতুন মেরুকরণ ও সমীকরণে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আরেকটি খাঁটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হবে। সরকারি ও বিরোধী দল, সবাই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। সেটাই হবে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়। তাই এই বিজয়ের মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একাত্তরের মতো আরেকটি বিজয় অর্জন হবে এমন প্রত্যাশায় বাংলাদেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে আছে। ৩০ লাখ শহীদের বাংলাদেশ পথ হারাবে না।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর