বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্স আয় বাড়ছে

প্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানির উদ্যোগ নিন

রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম দেশ। চলতি বছর এ খাতে বাংলাদেশ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ১ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন। ২০১৭ সালের তুলনায় এ আয় ১৭.৯ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪২৬ কোটি ডলারের বেশি। যেখানে ২০১৭ সালে এসেছিল ১ হাজার ৩৪৭ কোটি ডলারের কিছু বেশি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশের মধ্যে ভারতের স্থান প্রথমে। দেশটির রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ভারতের রেমিট্যান্স আয় বাংলাদেশের চেয়ে ৫ গুণ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতেরই শুধু ২ অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। রেমিট্যান্স বাড়লেও চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি বাড়েনি। বিশেষ করে সৌদি আরবের জাতীয়করণ নীতি ও ভারতের সস্তায় শ্রম রপ্তানির কারণে এই সময়ে ওই দেশটিতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি কমেছে। সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়া সরকার জনশক্তি আমদানি স্থগিত করায়ও সে দেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পর রয়েছে চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, মিসর, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইউক্রেন ও ভিয়েতনাম। রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ। তবে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, মিসর, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি আয় করছে। দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হিসেবে বিবেচিত এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে জনশক্তি রপ্তানির কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রস্তুত নিতে হবে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করলে অদক্ষ জনশক্তি রপ্তানির তুলনায় গড়ে ২ থেকে ৩ গুণ আয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এসব শ্রমিক আরও দক্ষ হয়ে দেশে ফিরে এলে দেশের সমৃদ্ধির জন্যও অবদান রাখতে পারবেন। অদক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে যা সম্ভব নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর