শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গার্মেন্টশিল্পে অশান্তি

উসকানিদাতাদের সামাল দিন

নির্বাচনের মাসে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা এবং তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও পানি ঘোলা করছে একটি মহল। তাদের অপতৎপরতায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম গার্মেন্ট শিল্প কেন্দ্র আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের মুখে ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে গার্মেন্টশিল্পে অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশি-বিদেশি মতলবাজ মহল এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রথমত নির্বাচন বানচাল করা, দ্বিতীয়ত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে উত্থান ঘটেছে তা কেড়ে নেওয়া। গার্মেন্টে অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য মালিকপক্ষের অনুদার ভূমিকাও কোনো কোনো অংশে দায়ী। নতুন মজুরি কাঠামো তারা মেনে নিলেও শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে তা নির্বাচনের আগেই কার্যকর করা উচিত ছিল। নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় না এলে শ্রমিকদের জন্য গঠিত মজুরি কাঠামো আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে যাতে সংশয় সৃষ্টি না হয় সে উদ্দেশ্যে আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়াই হতো বিধেয়। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকায় মতলববাজ মহল শ্রমিকদের উস‹ে দিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাদের অপতৎপরতায় বিপুলসংখ্যক গার্মেন্টে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চলতি মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গত ১১ মাসে রেকর্ড পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের এজেন্টদের দিয়ে গার্মেন্টশিল্পে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্রিয় হওয়া উচিত। আমরা আশা করব, গার্মেন্টশিল্পে সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টিতে চলতি মাসেই নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হবে। উসকানিদাতাদের সামাল দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমনটিও কাম্য।

 

 

সর্বশেষ খবর