শিরোনাম
রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যত্নবান হতে হবে

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

আল্লাহ পৃথিবীকে এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও কল্যাণের জন্য। প্রতিটি জীব সৃষ্টির পেছনে আল্লাহর বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।  বলা যায়, জীববৈচিত্র্য মহান আল্লাহর কুদরত। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রতিটি জীবের অবদান রয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান যে কারণে জীববৈচিত্র্য রক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো একজন নবীকে একটি পিঁপড়া কামড়ালে তিনি পিঁপড়াদের গোটা আবাসস্থল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অতএব তা জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। আল্লাহ তাঁর কাছে ওহি পাঠালেন, তোমাকে একটি পিঁপড়া কামড়াল, আর তুমি আল্লাহর প্রশংসাকারী একটি উম্মতকেই পুড়িয়ে ফেললে!’ বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে। উপরোক্ত হাদিস প্রমাণ করে আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট সব প্রাণীর প্রতিই মুহব্বত পোষণ করেন। মানুষেরও উচিত সব জীবের প্রতি মুহব্বতের মনোভাব পোষণ করা। অকারণে কোনো প্রাণী হত্যা কিংবা তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করা মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়। হাদিস থেকে জানা যায়, রসুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগুন দিয়ে শাস্তি দিতে নিষেধ করেছেন। এ হাদিসের ভিত্তিতে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ আলেম ছারপোকা বা এ-জাতীয় অনিষ্টকর পোকামাকড় গরম পানি দিয়ে হত্যা করা নাজায়েজ বলেছেন এবং হাদিসে উল্লিখিত কর্মপন্থা মুসলিম উম্মতের জন্য মানসুখ (রহিত) মনে করেন। এ সম্পর্কে সঠিক কর্মপন্থা হলো, স্বাভাবিক অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদিসের ওপর আমল করতে হবে। কিন্তু নিরুপায় অবস্থায় উপরোল্লিখিত হাদিস অনুযায়ী আমল করা যেতে পারে। আল্লাহর সৃষ্ট বিভিন্ন জীব মানুষের কল্যাণে ব্যবহƒত হয়। এসব জীবের প্রতি আমাদের সদয় আচরণ করা উচিত। সাহল ইবনুল হানজালিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি উটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার পেট তার পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। তিনি বললেন, এই নির্বাক পশুদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। সুস্থ-সবল অবস্থায় এদের পিঠে আরোহণ কর এবং সুস্থ-সবল থাকতেই এদের ছেড়ে দাও।

 

সর্বশেষ খবর