মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিনরাত বছরের নিয়ন্তা আল্লাহ

মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ আলী

চন্দ্র, সূর্য সবকিছুই যেমন আল্লাহর সৃষ্টি তেমনি চান্দ্র বা সৌরবর্ষ- যেভাবেই সময়কে ভাগ করা হোক না কেন, সবকিছুর নিয়ন্তা মহান আল্লাহ। দিনরাত সবকিছুতে যেমন মহান স্রষ্টা আল্লাহর মহিমা প্রকাশ পায়, বর্ষপরিক্রমাও তাঁর মহিমাবিশেষ। সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘(আল্লাহ হচ্ছেন) তিনিই যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত, দিন, চন্দ্র ও সূর্য। এদের প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত রয়েছে নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগসহকারে।’ এ বিষয়ে সূরা ইয়াসিনের ৩৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘সূর্য কখনই চন্দ্রকে ধরতে পারবে না কিংবা রাত কখনো অতিক্রম করতে পারবে না দিনকে। প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগসহকারে।’

চন্দ্র, সূর্য, পৃথিবীসহ সব গ্রহ-নক্ষত্র আল্লাহর নির্দেশে সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে নিজের খলিফার (প্রতিনিধি) মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর হাবিব রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেছে নিয়েছেন মানুষের মধ্য থেকে। মানুষের উচিত আল্লাহ প্রদত্ত সময় অর্থাৎ দিন, রাত ও বছরকে তার নির্দেশিত পথে অতিবাহিত করা। আল কোরআনের বিভিন্ন সূরায় এ বিষয়ে গাইডলাইন রয়েছে। সূরা ফাতিহায় সরল পথ পাওয়ার জন্য এবং বিপথগামীদের পথ থেকে রক্ষা পাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সূরার ৫-৭ আয়াতে আছে, ‘তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও, তাদের পথ যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয় যারা ক্রোধে নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।’ মানবজাতির সবারই আল্লাহর রহমত যে পথে সেই পথ অনুসরণ করা উচিত। দ্বিতীয় সূরা বাকারার তৃতীয় আয়াতে রয়েছে, ‘সৎ জীবিকা থেকে ব্যয় করার আদেশ সৃষ্টিকর্তার।’ এ ব্যাপারটি প্রত্যেক মানুষ মেনে চললে পৃথিবীতে একটি সুষম সমাজ গড়ে উঠবে। সম্পদ বণ্টনে ভারসাম্য হবে। অসৎ উপার্জন থেকে মানুষ বিরত থাকলে পৃথিবীতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ৪২ নম্বর আয়াতে রয়েছে ‘মিথ্যার সঙ্গে সত্য না মিশিয়ে ফেলার আদেশ এবং জেনেশুনে সত্য গোপন না করার কথা।’ আল কোরআনের এ ঐশী শিক্ষার সফল বাস্তবায়ন ও চর্চা মানুষকে সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করবে এমনটি কাক্সিক্ষত।

লেখক :  ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর