বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুই গার্মেন্ট শ্রমিকের মৃত্যু

অপরাধী বাসচালকের শাস্তি কাম্য

বছরের প্রথম দিনেই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই গার্মেন্ট কর্মীর প্রাণহানির ঘটনায় ফুঁসে উঠেছিল গার্মেন্ট শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ। সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত মালিবাগ-বনশ্রী সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা প্রায় ৫০টি বাস ও অন্যান্য যানবাহন ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছোড়া ঢিলের আঘাতে গুরুতর আহত হন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা। নববর্ষের প্রথম দিনেই মালিবাগে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপা পড়ে দুই গার্মেন্ট শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক। রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় বেপরোয়া গতিতে আসা সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস দুপুর দেড়টার দিকে মিম ও পারভীন নামে দুই তরুণী গার্মেন্ট কর্মীকে চাপা দেয়। তাদের একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ খবরে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মালিবাগ রেলক্রসিং থেকে রামপুরা টিভি ভবন পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মালিবাগ ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় আটকেপড়া যানবাহনে ভাঙচুর শুরু করে। এতে অর্ধশত বাস ভাঙচুর হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আবুল হোটেলের সামনে একটি বাসে আগুনও ধরিয়ে দেয়। এর ফলে রামপুরা ব্রিজ থেকে মৌচাক পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে ওই এলাকার একটি বাসায় আটকে পড়েন মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুন নাহার। তাকে উদ্ধার করে আনার সময় বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে তার এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বছরের প্রথম দিনে বেপরোয়া বাসের চাকায় দুই গার্মেন্ট শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অবশ্যই কাম্য। সড়ক দুর্ঘটনা সামাল দিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর