রবিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার নাম নিঝুম দ্বীপ

পর্যটন উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলুন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাদাবন নিঝুম দ্বীপকে সুন্দরবনের আদলে বদলে ফেলা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে নিঝুম দ্বীপের কাছে জেগে ওঠা চরগুলোতে পরিকল্পিতভাবে বাদাবন গড়ে তোলা হবে। বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবনের আদলে এটি গড়ে তোলা হলে তা একদিকে দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ যেমন বাড়াবে তেমন এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে তা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজেই আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। নিঝুম দ্বীপের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি দুটি এনজিও এগিয়ে এসেছে। বন বিভাগ একটি এনজিওর সহযোগিতায় বন রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরীদের যাতায়াতে নিজস্ব নৌপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। পর্যটনের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ হলে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটককে আকর্ষণ করতে পারবে নিঝুম দ্বীপ। ইতিমধ্যে দ্বীপের নামারবাজারে বন বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত একটি উঁচু ওয়াচ টাওয়ার পর্যটকদের আকর্ষণের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে। সেখানে উঠে উপভোগ করা যায় দৃষ্টিনন্দন সবুজ বেষ্টনীর জাতীয় এই উদ্যান। বন বিভাগের উদ্যোগে প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে অচিরেই এটি হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পর্যটন স্পট। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে ২০ হাজারের বেশি হরিণ। দিগন্তবিস্তৃত জেগে ওঠা চরে পরিকল্পিতভাবে বনায়ন হলে নিঝুম দ্বীপকে আরেকটি সুন্দরবনে পরিণত করা সম্ভব হবে। ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের চঞ্চল ছোটাছুটি নিঝুম দ্বীপের নিস্তব্ধতা কেড়ে নেয়। এখানে রয়েছে সুন্দরী, কেওড়া, গেওয়া, গোলপাতা ইত্যাদি বৃক্ষ। রয়েছে সবুজে ভরা বিশাল চরাঞ্চল। এ ছাড়া এখান থেকে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতসহ অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। এ দ্বীপের যে কোনো স্থান থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দুর্লভ দৃশ্য। দিগন্তের দিকে তাকালে জলরাশির মাঝে দৃষ্টি আটকে যায়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত নিঝুম দ্বীপের গর্বে গোটা বাংলাদেশের গর্বিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুনিয়ার যেসব দেশের পর্যটন আয় তুলনামূলক বিচারে কম বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। নিঝুম দ্বীপকে কেন্দ্র করে সুপরিকল্পিতভাবে পর্যটন জোন গঠন করা হলে তা পর্যটন খাতে দেশের আয় কয়েক গুণ বাড়াতে সক্ষম হবে। এ উদ্দেশ্যে সরকারকে পর্যটনবান্ধব নীতি গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর