শিরোনাম
সোমবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন

অজুত সম্ভাবনার হাতছানি

পাল্টে যাচ্ছে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে থাকা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। পদ্মা সেতু প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর থেকেই দেশের এ অঞ্চলটি হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এলাকা। পদ্মা সেতু তৈরির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে চলছে কলকারখানা শিল্প স্থাপনের প্রস্তুতি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ এই অঞ্চল থেকে বছরে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থনৈতিক উৎপাদন অর্জিত হবে। পরিকল্পিত অর্থনৈতিক করিডোর গঠন করা সম্ভব হলে সেক্ষেত্রে উৎপাদন বা অর্থনৈতিক আয় ১৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে। একইভাবে অর্জিত হবে বাড়তি আড়াই কোটি লোকের কর্মসংস্থান। সমন্বিতভাবে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করা সম্ভব হলে ২০৫০ সাল নাগাদ তা সাড়ে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের এলাকায় পরিণত হবে। এডিবির ‘রিয়ালাইজিং দ্য প্রটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ থ্ররু ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কাঠামোগত রূপান্তর এবং আঞ্চলিক সুষম উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক করিডোরের মতো উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন। একই সঙ্গে গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনা, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থা উন্নত করা এবং বৈশ্বিক ভ্যালু  চেইন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়া সহজ হবে। দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি মানুষের জন্য এডিবির প্রতিবেদনটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। স্বাধীনতার আগে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী খুলনা ছিল এই অঞ্চলের অর্থনীতির কেন্দ্র ভূমি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়। এক সময় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা পদ্মা পাড়ের এ অংশটি কালক্রমে পিছিয়ে পড়া এলাকায় পরিণত হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নে ইতিমধ্যে গতি সৃষ্টি করেছে। আশা করা হচ্ছে ওই এলাকায় অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলা হলে তা শুধু সংশ্লিষ্ট এলাকা নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর