মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন মন্ত্রিসভা

সুশাসন নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন

মন্ত্রিসভা গঠনে নতুনদের ওপর ভরসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমক দেখিয়েছেন। গত এক দশকে বাংলাদেশ এগিয়েছে জোরকদমে। এই এগিয়ে যাওয়ার সুবাদেই আওয়ামী লীগ পরপর তৃতীয় মেয়াদে তার নেতৃত্বে জয়ী হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করায় সে নির্বাচনের জয় কতটা বড় তা পরিমাপের সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে সদ্য সমাপ্ত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে একজন বাদে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বিপুলভাবে। সংসদের যে ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হয়েছে তার ২৮৮টিতেই জোটগতভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সদস্যরা। এ বিশাল জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর জন-আস্থারই প্রমাণ রেখেছে। সে আস্থাকে ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী গতকাল যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন তাতে নতুন মুখই প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। সুযোগ্য ও আস্থার কেন্দ্রস্থলে থাকা সত্ত্বেও আগের মন্ত্রিসভার ৩৬ সদস্য এবার বাদ পড়েছেন নতুনের কেতন ওড়ানোর সুবিধার্থে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলের অপেক্ষাকৃত নবীন নেতাদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। শতভাগ সফলও হয়েছিলেন তিনি। দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার কঠিন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষাকৃত নবীনদের প্রতি আস্থা রেখেছেন। এ আস্থায় তিনি কতটা সফল হবেন সময়ই তা বলে দেবে। নতুন মন্ত্রিসভা থেকে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের যেসব নেতা বাদ পড়েছেন তারা সুযোগ্য ও সুদক্ষ, কারও কারোর স্থান জাতীয় ইতিহাসের নায়কদের কাতারে। আশা করা যায় মন্ত্রিসভায় না থাকলেও তাদের পরামর্শ সরকারের পথচলার পাথেয় হবে। দলের জন্য এখন তারা যে বাড়তি সময় দিতে পারবেন তা সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের সংখ্যা বেশি হলেও দু-এক জন বাদে তাদের সবাই অভিজ্ঞ ও পোড় খাওয়া রাজনীতিক। জনইচ্ছা পূরণে তারা উন্নয়নই শুধু নয়, সুশাসন নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর