বুধবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মন্ত্রীদের অঙ্গীকার

দেশবাসীর আস্থার মূল্য দিতে হবে.

শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেছেন। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তথা জনগণের আস্থা অর্জনে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ তারা সঠিকভাবে মোকাবিলা করারও অঙ্গীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের অঙ্গীকারগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যের দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন তার বড় অংশ রাজনীতির পোড় খাওয়া মানুষ হলেও মন্ত্রী হিসেবে নতুন। মন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেশবাসীর প্রত্যাশা কী, তা তাদের অজানা নয়। এ প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ আন্তরিক হলে অভিজ্ঞতার অভাব কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নতুন মন্ত্রীদের এ-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা পূরণ করতে হবে সদিচ্ছা দিয়ে। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নততর করার লক্ষ্য নিয়েই সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রয়াস চালাতে হবে নিরন্তরভাবে। পক্ষপাতহীনভাবে নিতে হবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত। সব ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হতে হবে। গত এক দশকে বাংলাদেশ দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে এগিয়েছে। তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এর সুফল সাধারণ মানুষের জন্য শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। নতুন মন্ত্রীদের এ বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। নিজেরাই সৎ থাকা নয়, মন্ত্রণালয়ের কোথাও যাতে দুর্নীতি ও অসততা বাসা বাঁধতে না পারে সে ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর গতি ও সততাকে অনুকরণীয় ভেবে দেশ গঠনে জোর কদমে চলার মানসিকতা পোষণ করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অর্জিত বিপুল জয়ে অহংকারে না ভুগে জনপ্রত্যাশা পূরণকে মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন এমনটিই প্রত্যাশিত। মন্ত্রীরা কতটা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন তার ওপর তাদের নিজেদের সুনামও নির্ভরশীল। তাদের মন্ত্রী করে প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান দিতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দেশবাসীর মণিকোঠায় স্থান পেতে হতে হবে শতভাগ আন্তরিক। এটি তাদের সবারই কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে এ প্রত্যাশা দেশবাসীর। আমাদেরও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর