রোহিঙ্গা অপরাধীদের কারণে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে এসে নানা কৌশলে ভুয়া পরিচয় দিয়ে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করছে এবং বিদেশে গিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে। সম্প্র্রতি সৌদি সরকার ১৩ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রোহিঙ্গা অপরাধীদের দলটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাদের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আনুমানিক হিসাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মিয়ানমারের আড়াই লাখেরও বেশি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা ওই ১৩ ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা মিয়ানমারের নাগরিক। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তারা সৌদি আরব গিয়েছিল। অবৈধভাবে পাসপোর্ট করা ও আইন ভঙ্গের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রোহিঙ্গারা শুধু কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম নয়, দেশের উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলার স্থায়ী বাসিন্দা পরিচয়েও পাসপোর্ট করছে। পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হয়। পুলিশ পাসপোর্ট পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে থাকে। তারপরও গত এক-দুই দশকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নানা কৌশলে অর্থের বিনিময়ে সবকিছু ম্যানেজ করে বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ ঘটাচ্ছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা অপরাধপ্রবণ হিসেবে সুপরিচিত। সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে তারা বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। আমরা আশা করব সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা রোহিঙ্গারা কীভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মালিক হলো তা উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে সৌদি আরবে হজ ও ওমরাহের ছদ্মাবরণে মানব পাচার বন্ধে কঠোর নজরদারির আশ্রয় নেওয়া হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।