শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের অভিযাত্রা

আরও পথ এগোতে হবে

গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশ এক বছরেই চার ধাপ এগিয়েছে। নতুন সরকারের জন্য এটি সুখবর হলেও দক্ষিণ এশিয়ার মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখনো ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকেও দূরত্ব অনেক। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্টস ইউনিট গত বুধবার যে গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে তাতে এবার ৫.৫৭ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর এ সূচকে ৫.৪৩ স্কোর নিয়ে ৯২তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারের সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এ পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ পয়েন্টভিত্তিক এ সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্টস ইউনিট। সব সূচক মিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে সে দেশে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। স্কোর ৬ থেকে ৮-এর মধ্যে হলে সেখানে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে হলে ‘মিশ্র শাসন’ এবং ৪-এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরতে হবে। বাংলাদেশকে এই প্রতিবেদনে রাখা হয়েছে মিশ্র শাসনভুক্ত দেশের তালিকায়, যেখানে ভুটান, নেপাল, পাকিস্তানসহ ৩৯টি দেশ রয়েছে। এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত ৭.২৩ স্কোর নিয়ে তাদের অবস্থান ৪১তম, তার পরের স্থান ৬.১৯ স্কোর নিয়ে ৭১তম দেশ শ্রীলঙ্কার। গণতন্ত্র সূচকে শীর্ষে রয়েছে ইউরোপীয় দেশ নরওয়ে। শীর্ষ দশে আরও আছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড। যুক্তরাজ্য ও জার্মানি পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হয়েছে গতবারের মতোই ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়। তালিকার তলানিতে আছে উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া মিয়ানমার, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান ও সৌদি আরবকেও একই কাতারে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে গত এক বছরে সরকার ও বিরোধী দলের সংলাপ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কারণে। এ ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি পেতে হলে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর