মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে মজুরি সমন্বয়

ক্ষোভ নিরসনে ভূমিকা রাখুক

গার্মেন্ট শ্রমিকদের অসন্তোষ থামাতে মজুরি সমন্বয় করা হয়েছে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের বৈঠকে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোয় শুভঙ্করের ফাঁকি ধরা পড়ার পর শুরু হয় অসন্তোষ। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রবিবার তিন পক্ষের বৈঠকে মজুরি সমন্বয় করে সংশোধিত কাঠামো ঘোষণা করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের গণভবনে ডেকে আলোচনা করে মজুরি সমন্বয়ের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুসারে রবিবার সন্ধ্যায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংশোধিত মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কাঠামো অনুসারে, ডিসেম্বরে ঘোষিত গেজেটের তুলনায় প্রথম গ্রেডে মজুরি বেড়েছে ৭৪৭ টাকা, দ্বিতীয় গ্রেডে ৭৮৬ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ২০ টাকা, চতুর্থ গ্রেডে ১০২ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ২৫ টাকা এবং ষষ্ঠ গ্রেডে ১৫ টাকা। ডিসেম্বরে ঘোষিত গেজেটের মজুরি জানুয়ারিতে শুরু হলে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয়। সংশোধনের পর ২০১৩ সালের ঘোষিত কাঠামো থেকে এবার প্রথম গ্রেডে মজুরি বেড়েছে ৫২৭৭ টাকা, দ্বিতীয় গ্রেডে ৪৫১৬ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ৩০৪০ টাকা, চতুর্থ গ্রেডে ২৯২৭ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ২৮৩৩ টাকা এবং ষষ্ঠ গ্রেডে ২৭৪২ টাকা ও সপ্তম গ্রেডে ২৭০০ টাকা।  সংশোধিত মজুরি কাঠামো সম্পর্কে শ্রমিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানালেও অন্য পক্ষ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। তবে মালিক পক্ষের বক্তব্য, তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বেতন সমন্বয়ের মাধ্যমে বাড়তি বোঝা মেনে নিয়েছেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়া সত্ত্বেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালে তা তাদের জন্যই অকল্যাণকর হবে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো সাধারণ শ্রমিকরা সন্তুষ্ট চিত্তেই মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু মজুরি নিতে গিয়ে ধরা পড়ে তারা শুভঙ্করের ফাঁকির কবলে পড়েছেন। মজুরি সমন্বয়ের পরও আস্থার অভাবে সংকট এখনো রয়ে গেছে। আমরা আশা করব, এ সংকট কেটে যাবে এবং শ্রমিকরা তাদের

নিজেদের স্বার্থেই সমঝোতায় সায় দেবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর