মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জোড়াতালির হাসপাতাল

খুলনা মেডিকেলের দুর্ভোগের অবসান হোক

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী খুলনা। ধারেকাছের জেলাগুলোর লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্রটি চলছে যেনতেনভাবে। প্রশাসনিকভাবে এটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও খুলনাবাসীর কাছে এর পরিচিতি ‘আড়াই শ বেড’ হাসপাতাল নামেই। আর নামের মতো ২৫০ শয্যার জনবলেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে ৫০০ শয্যার কার্যক্রম। ফলে মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা প্রার্থীরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫০০ শয্যার জনবল চেয়ে বহুবার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও সন্তোষজনক সুরাহা হয়নি। জনবল অনুমোদনের চিঠি চালাচালিতেই কেটে গেছে ১১ বছর। প্রশিক্ষিত জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ১০ মাস পরও চালু হয়নি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ সেবা। সে সেবার অভাবে সাধারণ পরিবারের মুমূর্ষু রোগীরা থাকেন মৃত্যুঝুঁকিতে।

প্রতিদিন গড়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০০ থেকে ১০০০ রোগী ভর্তি থাকেন। আউটডোরে সহস্রাধিক রোগী আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও এত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক-নার্সরা। ৫০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ জনবল প্রয়োজন হলেও রয়েছেন মাত্র ৫৩২ জন। ২০০৮ সালে জনবল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা নানা অজুহাতে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে চিকিৎসা প্রার্থী শুধু নয়, খুলনাসহ ধারেকাছের জনপদের লাখ লাখ মানুষের মধ্যে বঞ্চনা ও হতাশা দানা বেঁধে উঠছে। জনমনে বর্তমান সরকারের সুকৃতি গড়ে উঠেছে উন্নয়নের সরকার হিসেবে। এ সুনামের স্বার্থে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যত্নবান হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই। ৫০০ বেডের হাসপাতাল যাতে অবিলম্বে তার সব অভাব-অনটন কাটিয়ে উঠতে পারে- এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত চায় খুলনাবাসী। তাদের এ দাবি পূরণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর