শনিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই

প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াস সফল হোক

সন্ত্রাস ও মাদকের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসনে কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তা পূরণের জন্য সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা দরকার। স্মর্তব্য, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর কাজের গতি বাড়াতে এবং স্বচ্ছতা আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শুরু করেন। মধ্যে কয়েক বছর বিরতির পর এই মেয়াদে এসে সরকার গঠন করে আবারও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় কর্মকর্তাদের প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বলা যায়, ১৬ কোটি মানুষের পুরো জাতিই দুর্নীতিবাজদের কাছে জিম্মি। বিশেষত সরকারি অফিসগুলোয় দুর্নীতির অবস্থান এতটাই পাকাপোক্ত যে দেশের জনগণের কল্যাণ ও ভাগ্যোন্নয়নের পথে তা প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা গত এক দশকে সন্তোষজনকভাবে বাড়ানো হলেও দুর্নীতিবাজদের অভ্যাসে তা ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। যে কারণে সাধারণ একজন হিসাবরক্ষকের পক্ষেও বিপুলসংখ্যক বাড়ি-গাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া সম্ভব হয় এবং এটি কোনো বিচ্ছিন্ন চিত্র নয়। এ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেও তা ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’তে পরিণত হয়েছে দুর্নীতিবাজদের শক্ত হাতে ধরার যথাযথ উদ্যোগ না থাকার কারণে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরো প্রশাসন সক্রিয় হয়ে উঠবে। দেশের মানুষের আস্থা ধরে রাখতে জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো দুর্নীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠিন আঘাত হানা হবে।

সর্বশেষ খবর